শুক্রবার রাত ৪:৫৮, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে টাকার সাথে দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা

১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ব্যক্তির চেয়ে সমাজ বড়, সমাজের চেয়ে দেশ বড়, তেমনি ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, টাকার চেয়ে আদর্শ বড়। কিন্তু কিছু কিছু সময় আমরা এর ব্যতিক্রমও দেখতে পায়। অনেক ক্ষেত্রে টাকার কাছে মানুষের আদর্শ ও ব্যক্তিত্ব বিক্রি করে দলের ক্ষতি অনেকেই করে থাকেন। যার শেষ পরিনতি ভালো হয়নি। এমনি পরিবেশ পরিস্থিতি বিরাজ করছে আগামী ১৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কে সামনে রেখে পরো নির্বাচনী এলাকায়।

আগামী ১৮ জুন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মাঠে কাজ করছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব অ্যাডভোকেট তানভীর ভুইয়া। তিনি বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা প্রথম নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। আগামী নির্বাচনেও তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত একমাত্র নৌকার প্রার্থী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী গণসংযোগ, পথ সভা, উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা অব্যাহত রেখেছেন।

এদিকে কুয়েত প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কৃতি সন্তান লুৎফুর রহমানের সহধর্মিণী নাছিমা লুৎফুর রহমান নিদর্লীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে গত দু’তিন মাস ধরে সাথে বিশাল গাড়ি বহর ও নিজের পরিবার আত্মীয় স্বজনদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ, পথ সভা, আলোচনা সভা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, ও গণসংযোগে ভোটারদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। স্বামীর টাকার প্রভাব খাটিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করে নিজের বিজয় সুনিশ্চিত করতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন।

এবারের বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া ও নাছিমা লুৎফুর রহমান। যা কেবল দল ও টাকার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ। তারা মনে করেন যদি টাকার কাছে শেষ পর্যন্ত দলের পরাজয় বরণ করতে হয় তাহলে ধরে নিতে হবে দল ও দলের আদর্শের কোন মূল্য নাই। আর এতে দল ও সংগঠনের প্রতি মানুষের আস্তা থাকবে না। যার ফলে সমাজেও বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। কারন টাকার কাছে মানুষ জিম্মি হয়ে যাবে। যার টাকা আছে তার নীতি আদর্শ না থাকলে সে যদি জনপ্রতিনিধির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয় তাহলে সমাজে অন্যায় অপরাধ ও অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি