বৃহস্পতিবার বিকাল ৫:৩৯, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

আসুন শুরু করি “তিতাস বাঁচাও আন্দোলন”

১১০৯ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মূল শহরের মেড্ডা, শিমরাইলকান্দি, কাউতলী-ভাদুঘর, গোকর্ণ ঘাট গ্রামগুলো দিয়ে ছলছল করে বয়ে যাওয়া তিতাস নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে প্রবহমান একটি বিখ্যাত নদী। বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃসীমা সংশ্লিষ্ট নদী হিসেবে এটি পরিচিত। এই নদীর সাথে জড়িয়ে আছে হাজারো ঐতিহ্য, লক্ষ-লক্ষ জেলের ভাগ্য এবং হাজার রকমের স্মৃতি। তাই অদ্বৈত মল্লবর্মণ লিখেছিলেন “তিতাস একটি নদীর নাম” উপন্যাসটি এবং এই একটিমাত্র উপন্যাস লিখেই তিনি বাংলা সাহিত্যের চিরস্মরণীয় ও অমর প্রতিভা হিসেবে সবিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেন।

এক টুকরো প্রশান্তির প্রত্যাশায় প্রতিদিন বিকেলে হাজারো মানুষ ভিড় করে তিতাস নদীর পাড়ে। জেলেদের মাছ ধরা, সকালের সদ্য উদয় হওয়া লাল সূর্য, স্নিগ্ধ বিকেলে ভেসে চলা পালের নৌকা, শান্তির মায়া-জালে হারিয়ে যাওয়া অপরূপ সব দৃশ্য। তাইতো মনের গভীরে বারবার বেজে উঠে- এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।

অথচ আজ এই তিতাস নদী একশ্রেণির জুয়ারী, ভূমিদস্যু, স্থানীয় সর্দার-মাতুব্বর-নেতা, কিছু নীতিহীন রাজনৈতিক ব্যক্তির কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দূষিত হয়ে পড়েছে এর পানী। ভরাট হয়ে যাচ্ছে একের পর এক পাড়গুলো। পাড় ভরাট করে গড়ে ওঠছে বিভিন্ন অনৈতিক ব্যবসা। পরিকল্পনা চলছে বহুজাতিক কোম্পানীর হাইরাইজড্ বিল্ডিং নির্মাণের। সুতরাং আর দেরি নয়, জীবন বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে, পরিবেশ বাঁচাতে এখনই আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এই নদীটিকেও বাঁচাতে। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিতাস নদী  নামে একটা গ্রুপ খুলেছি। এতে সবাই যুক্ত হোন, বন্ধু ও পরিচিত জনদের যুক্ত করুন।

এই গ্রুপে তিতাস নদী  নিয়ে বিভিন্ন লেখা, আর্টিকেল, ছবি এবং তথ্য দিয়ে আমাদের সাহায্য করুন। এর মাধ্যমে তুলে ধরুন তিতাস নদীর প্রয়োজনীয়তা, সৌন্দর্য, সমস্যা ও সমাধান। গড়ে তুলুন একে বাঁচানোর আন্দোলন। আওয়াজ তুলুন তিতাস নদী ড্রেজিংয়ের এবং সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের।

মোঃ দেলোয়ার হোসাইন : চেয়ারম্যান, অপটিমাম আইটি

 

 

Some text

ক্যাটাগরি: খবর

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি