পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে গত ৩১ মার্চ রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঁচটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ শেষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরে উপজেলায় বিপুল বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজুর রহমান। তিনি ৬৮,২৩৩ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীকে মাত্র ২৬,৯০৭ভোট পান। তিনি তার প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামীলীগের জাহাঙ্গীর আলম এর থেকে ৪১ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন ।
নৌকার এই ভরাডুবিতে হতাশ আওয়ামীলীগের সমর্থককর্মীরা। নৌকার সমর্থকরা অনকেই মনে করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরে হেভিওয়েট ও শক্তিশালী প্রার্থী না দেয়ার কারণেই নৌকার এই ভরা ডুবি। আবার অনেকেই বলছেন , ফিরোজুর রহমান ওলিও এক জন নৌকার সমর্থকর্মী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরে তার ব্যাপক পরিচয় এবং জনপ্রিয়তা থাকার কারণেই তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে গত ৩১ মার্চ রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঁচটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় । অাখাউড়া ও কসবায় উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় ওই দুটি উপজেলায শুধু মাত্র ভাইস চেয়ারম্রান নির্বাচন অনুষ্ঠিতি হয় । ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতটি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর , সরাইল , নবীনগর এই তিনটিতেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ।
নাসিরনগরে উপজেলায় বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগের রাফিউদ্দীন (৫৯,৮৬১) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার (১৪,৫৭৪), ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন ৩০,১০৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বরজিত দাস ২৭,৩৬৩ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রুবিনা আক্তার ৫৪,৭৫৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দা হামিদা লতিফ ১৬,২৯৮ ভোট পেয়েছেন।
সরাইল উপজেলায় বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রফিক উদ্দীন ঠাকুর (৩১,৪৮৪) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শের আলম (২২,৭৫৮), ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো: আবু হানিফ ২২,৩৭০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: জামাল ২১,৬৭১ ভোট পেয়েছেন।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রোকেয়া বেগম ২৮,৫৫৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আছমা বেগম ১৯,৫৭৫ ভোট পেয়েছেন।
আশুগঞ্জ উপজেলায় জয়ী হয় আওয়ামী লীগের মো. হানিফ মুন্সি (৪৩,০৪১) ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনিসুর রহমান (২৫,৫৫৫), ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেলিম পারভেজ ৩৮,১২২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমির হোসেন ২৫,৪০৮ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লিমা সুলতানা ১৮,৩৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জোসনা আক্তার ১৪,৫৩৮ভোট পেয়েছেন।
নবীনগরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. মনিরুজ্জামান ৪৯,৮৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কাজী জহির উদ্দীন সিদ্দিক পেয়েছেন ৪৮,৬৯০ ভোট, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ জাকির হোসেন সাদেক ২৪,৯১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবির হোসেন ২১,২৩১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিউলী রহমান ২৫,৪৯৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদা আক্তার শিউলী ২২,৬৪৫ ভোট পেয়েছেন। আখাউড়ায় ও কসবায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন ।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত
[sharethis-inline-buttons]