ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট অমর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মো. জাবেদ মিয়া নামের এক শিক্ষকের বেত্রাঘাতে বাম চোখ নষ্ট হওয়ার পথে ওই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো: রিফাত মিয়ার ।
জানা যায়,উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের সিজিল মিয়ার ছেলে মো. রিফাত মিয়া, ওই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। গত ১০ এপ্রিল উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. জাবেদ মিয়া এর দ্বিতীয় ঘন্টার সময় রিফাত পড়া না পারার কারেণ শাসন করার নামে তাকে বেত্রাঘাত করেন ওই শিক্ষক, বেত্রাঘাত করার সময় বেতের আঘাত রিফাতের চোখে লাগলে চিৎকার কতে থাকে সে। তখন তার সহপাঠীরা তার চোখে পানি দেয়, তাতে যন্ত্রণা না কমলে তার এক সহপাঠীদের সহযোগীতায় স্থানীয় এক চিকিৎসক এর কাছে গেলে তার চোখের অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।। পরে রিফাতের বাবা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন। ঢাকার চিকিৎসকরা জানান, তার চোখ অপারেশন না করা পর্যন্ত কিছইু বলতে পারবে না,এবং চোখ অপারেশন করলেও তার চোখ ভাল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি । আহত শিক্ষার্থী রিফাত জানান, ক্লাসে ইংরেজী পড়া না পারার কারণে জাবেদ স্যার বেত্রাঘাত করার সময় বেত ভেঙ্গে গিয়ে তার চোখে লেগেছে।
রিফাতের বাবা বলেন, আমার ছেলে এখন এক চোখে দেখতে পারে না। ডাক্তাররা অতিদ্রুত তার চোখের অপারেশন করতে বলেছেন, ডাক্তাররা বলেন চোখের অপারেশন করলেও তার চোখ ভাল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
উক্ত ঘটনার দায়ে খন্ডকালীন শিক্ষক মো. জাবেদকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকারম হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সায়মন ওবায়েদ শাকিল: বিশেষ প্রতিনিধি
Some text
ক্যাটাগরি: খবর
[sharethis-inline-buttons]