পুলিশই জনতা – জনতাই পুলিশ,
এই বাক্যটি তখনই বাস্তবিক রুপ পায় যখন পুলিশের মাঝে নৈতিক বোধ জাগ্রত হয় এবং তা পুলিশ বাস্তবায়ন করে। বিএনপির রাজনীতি করে এখন কেউ পুলিশকে ধন্যবাদ দিবে না। কারনে অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ আজকাল ভুলেই গেছে যে, ওরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী । জনগনের সেবা করার জন্যই রাষ্ট্র তাদের নিয়োগ দিয়েছে।
যদি ও এখন রাষ্ট্রে যারা ক্ষমতায় রয়েছে, তারা ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে পুলিশ বাহিনীকে জনগনের বিপক্ষে দাড় করিয়ে দিয়ে পুলিশকে জনগন থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে, যা কোন দেশ ও জাতির জন্য কখনোই শুভকর নয়। দীর্ঘদিন ধরেই অশুভ চক্র পুলিশকে দেশের মানুষের বিপক্ষে দাড় করিয়ে – মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেই চলছে,, যা এক সময় এদেশকে অন্ধকারে পতিত করতে পারে । এক যুগের আধার ভেদ করে গত ৩১ শে মার্চ ২০১৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্টিত হয়ে গেল। যেখানে পুলিশের ভূমিকা ছিল, দেশের পক্ষে দেশের মানুষের পক্ষে, যেমনটি সব সময় হওয়ায় জাতির প্রত্যাশা । যদি ও এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয় নি।
যদি নিত তা হলে আমাদের উপর যে গায়েবী মামলা সহ নানান ভাবে নির্যাতন চলতনা এমনটি না ভাবার কোন অবকাশ নেই , যেমন গত ১০ বছর যাবৎ চলে আসছে । যে সব কারনেই আমরা আজ পুলিশকে ঘৃনাই করে থাকি। কিন্তু মাঝে মাঝে পুলিশের কিছু ভাল কাজকে আমরা ধন্যবাদ জানাতেই পারি । কেননা খারাপকে খারাপ যেমন বলি তেমন ভালকে ও ভাল বলার মানুষিকতা আমাদের মাঝে বাড়ানো উচিত, আর এমনটি সবার মাঝে গড়ে উঠলেই কেবল। মানুষ খারাপের দিক থেকে ভালর দিকে এগিয়ে আসতে পারে ।
যে দেশে একজন নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে শুনে আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে চলে যান, এমন কি মৃত ও প্রবাসীদের ভোট ও দিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় সময় দেখি কেন্দ্রে ভোটার ১২০০ ,কিন্তু ভোট গুনে দেখা যায় – ভোট পড়েছে ১৫০০/ অর্থাৎ এমন ভাবে ছাপানো হয় যে নির্ধারিত ভোটের চেয়ে ও কয়েকশত ভোট বেশী ছাপানো হয়ে যায়। মানুষিকতা যখন হীন রুপ ধারণ করেন – তখনই নষ্ট হয় সামাজিকতা – বৃদ্ধি পায় সামাজিক অশান্তি । চরম অন্ধকারে যখন এদেশের ভোট ব্যবস্থা – এর মাঝে ৩১ তারিখের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের দায়িত্ববোধ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় । পুলিশের দায়িত্ব যেমন হওয়া উচিত, ঠিক তেমনই দায়িত্ব পালন করেছে পুলিশ। যার ধরুন কোন অশুরীপনা দেখতে হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীকে । বিএনপির ভোট বর্জন করায় ভোটার উপস্থিতি খুবই নগন্য হলে ও – কোন ভোটারকে সেদিন ভোট না দিয়ে ফিরে আসতে হয় নি। কোন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কেন্দ্র দখল করার মত দুঃসাহস দেখায়নি। ফলে সাধারন মানুষের কাছে পুলিশের দায়িত্ববোধ আলো মেলেছে। পাশাপাশি যারাই ভোট দিতে গিয়েছে তারা খুশি মনে ভোট দিতে পেরেছে । পুলিশের এমন কাজ নিঃসন্দেহে ভাল লেগেছে – তাই আমি দেশের একজন নাগরিক হিসাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশকে ধন্যবাদ দিতেই পারি ।
ব্যক্তি স্বার্থ কখনোই এদেশের চেয়ে বড় হতে পারে না। যার মাঝে দেশ প্রেম নেই তার তো ঈমানই নেই ।
পুলিশকে তাদের কর্মের মাধ্যমেই জনগনের ভালবাসা ধরে রাখতে হবে । আর তখনই প্রাতিষ্টানিক রুপ পাবে।
পুলিশই জনতা- জনতাই পুলিশ ।
Some text
ক্যাটাগরি: নির্বাচন
[sharethis-inline-buttons]