শনিবার রাত ৮:৩৭, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

গৃহিণীদের স্বাবলম্বী হতে হবে

১০৩৩ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

সংসারে সুখ আনতে হলে  প্রত্যেক গৃহিণীকেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। স্বাবলম্বী হতে হবে। শুধু স্বামীর অর্থের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। সাংসারিক কাজকর্মের পাশাপাশি গৃহিণীদের অর্থনৈতিক ছোট ছোট পদক্ষেপ একদিকে যেমন আর্থিক পরনির্ভরশীলতা থেকে রক্ষা করবে, অন্যদিকে নিজের মন-মানসিকতা এবং সৃষ্টিশীল ও স্বাধীন চিন্তা-চেতনারও বিকাশ ঘটাবে।

গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক ছোট ছোটপদক্ষেপ হতে পারে- ঘরে হাঁস-মুরগী পালন,ছাগল-ভেড়া পালন, পাশের ডোবা-পুকুরে মাছ চাষ, উঠোনের চারপাশে অথবা বাড়ির পাশের খালি জমিতে ফল-ফলাদি ও শাক-সবজির চাষ ইত্যাদি। আর শহুরে গৃহিণীদের পদক্ষেপগুলো হতে পারে বিউটি পার্লার, বুটিক হাউজ কিংবা রাস্তার পাশের বাসা থাকলে আলাদা একটা রুমে লেডিস ফ্যাশনের বিভিন্ন উপকরণ ও পোশাক বিক্রি।

ঘরোয়া দোকানগুলোতে সাধারণত মেয়েরাই আসবে এবং দোকানের সেলসম্যান, ম্যানেজার, টেইলার মেয়েই হয়ে থাকে। তাই অন্য কোনো হয়রানীর শিকার হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

অবশ্য এ কাজটা আমি নিজেই শুরু করেছি গত দুবছর থেকে। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম “ইয়াতী লেডিস ফ্যাশন”। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের কাজীপাড়া ঈদগাহ মাঠের উত্তর-পশ্চিম কর্ণারে “ম-ম নীড়ে” অবস্থিত। বিভিন্ন ব্যস্ততায় ঠিকমতো এটি খোলা রাখতে না পারলে ভালো সাড়া ফেলায় আবারো এটিতে সময় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এতে করে এলাকার মেয়ে ও নারীদের নারীদের মার্কেটে যাওয়ার ঝামেলা নেই। পুরষদের দ্বারা হয়রানীরও কোনো কারণ নেই। এখন শহরের নির্দিষ্ট দুয়েকটি জায়গায় বড় বড় মার্কেটের চেয়ে গ্রামে গ্রামে ছোট ছোট আধুনিক পোশাকের দোকানের প্রতি শিক্ষিত মেয়েরা ঝুঁকছে।

ইয়াতী লেডিস ফ্যাশন, ম-ম নীড়, কাজীপাড়া (ঈদগাহ মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে), ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

অনেক দিক বিবেচনায় এটি একটি ভালো উদ্যোগ এবং মেয়েদের ভালো মানসিকতা। এসব ঘরোয়া দোকানগুলোতে সাধারণত মেয়েরাই আসবে এবং দোকানের সেলসম্যান, ম্যানেজার, টেইলার মেয়েই হয়ে থাকে। তাই অন্য কোনো হয়রানীর শিকার হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সুলতানা আলীম লাভলী : কর্ণধার, ইয়াতী লেডিস ফ্যাশন

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি