প্রায় দুই লক্ষ সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সর্বশেষ ভরসাস্থল এই সরকারি হাসপাতালটি। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ও অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার অভিযোগ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালের ডাক্তার ও ইনচার্জকে এসব অনিয়মের অভিযোগে বদলিও করা হয়েছে।।
গতকাল দেখা গেছে, অপরিচ্ছন্ন বিছানার চাদরেই রোগীরা শুয়ে আছেন। মহিলা-পুরুষ ওয়ার্ডের পরিবেশ নোংরা। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। যেখানে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেই শয্যার বিছানাও নোংরা। মহিলা ওয়ার্ডের অবস্থা এতটাই খারাপ যে দুর্গন্ধে দম বন্ধের উপক্রম হয়। সরেজমিনে এমন অবস্থাই দেখা গেছে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।
রোগীদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এটি। অথচ এর পরিবেশ এতটাই নোংরা যে, এখানে এক মিনিট টিকে থাকা কষ্টকর। নিরুপায় হয়ে রোগী নিয়ে কোনো রকমে সময় পার করতে হয় এখানে। নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার কিংবা চিকিৎসা যন্ত্রপাতি। একাধিক ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরা বলেন, হাসপাতালের শয্যা দেখলে এতে কেউ থাকতে চাইবেন না ভাল মানের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল না থাকায় বাঁচার তাগিদে বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে।
এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমার ছোট বোন ও আমার মেয়ের মাথায় পানি দেওয়ার জন্য বালতি প্রয়োজন ছিল। বাথরুমে গিয়ে দেখি একটি ফাটা বালতি পড়ে আছে।’
এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেএক্সের পরিছন্তা কর্মীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম হচ্ছে, ‘একটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজন পরিছন্নতা কর্মী থাকা প্রয়োজন। আমাদের এখানে মাত্র দুই জন আছে। আর শয্যার বেডগুলো চেইঞ্জেবল না। হাসপাতালের বয়স যত দিন এইগুলোর বয়সও তত দিন। আমি এসব বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পার্শ্ববর্তী জেলা সদরের বরিশল কোড্ডাসহ বিজয় নগর উপজেলার একটা অংশ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে রোগীরা। তাই সংশ্লিষ্ট ভোক্তভোগী এলাকাবাসীর বলেন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের একটা দাবী হাসপাতালটি যেন সংস্কার করা হয় এবং অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রোধে যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
অমিত হাসান অপু : আখাউড়া থেকে
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]