হিন্দু মহিলা মহাজোটের সভানেত্রী প্রীতিলতা বিশ্বাসের বাড়ী ও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের চরবানির গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব মুক্তিযোদ্ধা শ্রীজগদীশ বিশ্বাস ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও বেসরকারী মানবাধিকার সংস্থা শারি’র নির্বাহী পরিচালক প্রিয়বালার বাড়ী একদল দুস্কৃতকারী অগ্নিসংযোগ করে।
অদ্য ৩ মার্চ রবিবার বিকাল ৪.০০টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক হামলা অগ্নি সংযোগ, খুন, মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এক মানব বন্ধন এর আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দুমহাজোটের সহ সভাপতি ডাঃ এম.কে রায়, প্রদীপ পাল, মহাসচিব অ্যাড.গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, মহিলা মহাজোটের সভাপতি প্রীতিলতা বিশ্বাস, হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সাজন কৃষ্ণ বল, সাধারণ সম্পাদক হরেকৃষ্ণ বারুড়ী, ২০০১ এ নির্যাতিতা পূর্ণিমা শীল, আদিনাথ সরকার, অসিত বালা, সুমন হালদার রবিদাস ফোরাম ঢাকা মহানগরের সভাপতি রামানন্দ দাস, সাধারণ সম্পাদক রাজকুমার দাস প্রমূখ।
বক্তাগণ বলেন, বর্তমান মেয়াদে সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দু সম্প্রদায় আশা করেছিলো তাদের উপর সংঘটিত সকল জুলুুম নির্যাতনের বিচার হবে হবে,আর তারা নিজদেশে তারা নির্যাতিত হবে না,সংখ্যালঘু নির্যাতন কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কিন্তু গত দুই মাসের মধ্যে সারা দেশে হিন্দু নির্যাতনের শত শত ঘটনা অতীতের সকল রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে।প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘরে অগ্নি-সংযোগ, হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা, অপহরন, নারী নির্যাতন, জমি-জমা দখল, দেশত্যাগে বাধ্যকরন এর মত একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। অথচ প্রশাসন বরাবরের মত নিরব ভূমিকা পালন করছে।
গত ২ মাসে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ, ঝালকাঠী, চাঁদপুর সহ সারাদেশে দুই শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতন নিপিড়নের মাত্রা এত বেড়েছে যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ফলে সাড়া দেশে ব্যপকভাবে হিন্দু সম্প্রদায় দেশত্যাগ করছে।
বক্তাগণ বলেন সরকার যদি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ এর আহ্বান জানায়। বক্তাগণ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার ও মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার করে অপরাধীদের ফাঁসী নিশ্চিতের দাবী করেছেন। অন্যথায় সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচীর মত কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে।
বক্তাগণ বলেন জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ও অপরাধীদের বিচার না হওয়ার কারনেই বার বার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আঘাত আসছে।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]