১৯৫৬ সালের ১লা মার্চ লালমনিরহাট জেলার প্রাণকেন্দ্রে কিছু ধনাঢ্য ও দানশীল হিন্দুর হাতধরে শ্রীশ্রী গৌরিশংকর গোশালা সোসাইটির গোড়াপত্তন ঘটে। শ্রীশ্রী গৌরিশংকর গোশালা সোসাইটি গঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য গো-পালন হলেও পরবর্তীতে সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ড যেমন:স্কুলপ্রতিষ্ঠা ও পাঠদান,বিভিন্ন ধর্মীয় পুজা-পার্বণসহ বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়ে যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি সমগ্র জেলার সনাতনী সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়।
শ্রীশ্রী গৌরিশংকর গোশালা সোসাইটির সুনাম লালমনিরহাট জেলার গন্ডি ছাড়িয়ে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ে।কিন্তু আজ সেই প্রতিষ্ঠানটি হারাতে বসেছে তার সেই সোঁনালি ঐতিহ্য যার মূল ও প্রধানতম কারন হল নেতৃত্বসংকট। শ্রীশ্রী গৌরিশংকর গোশালা সোসাইটির গঠণতন্ত্র অনুযায়ী গোশালা সোসাইটিতে সদস্য হতে হলে প্রথম তাকে সনাতন সম্প্রদায়ের হতে হবে কিন্তু আজ একটি কুচক্রি মহল উঠেপড়ে লেগেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোককে সদস্য করানোর জন্য। শ্রীশ্রী গৌরিশংকর গোশালা সোসাইটির গঠণতন্ত্রে বলা আছে সর্বনি¤œ ৫ জন ট্রাষ্টি থাকতে পারবে কিন্তু এখন আছে দুইজন,আরো বলা আছে কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ হবে কমিটি গঠণের দিন থেকে পরবর্তী দুই বছর কিন্তু আজ নয়-দশ বছর হলো ঐ একই কমিটি দিয়েই চলছে শ্রীশ্রী গৌরিশংকর গোশালা সোসাইটি যা সম্পুর্ন আইন ও গঠণতন্ত্র পরিপন্থি।ফলে শ্রীশ্রী গৌরিশংকর গোশালা সোসাইটিতে চলছে সৈ¦রাচারতন্ত্র,একটি সংগঠণ যেভাবে নিয়মমাফিকভাবে চলার কথা সেভাবে চলছেনা,নাই কোন সঠিক আয়-ব্যয়ের হিসেব।
ফলশ্রæতিতে জেলার সনাতনী সম্প্রদায় আর শ্রীশ্রী গৌরিশংকর গোশালা সোসাইটির পরিচালনা কমিটির প্রতি আস্থা রাখতে পারতেছেনা তাই সময়ের দাবী নতুন কমিটি গঠণ তারই ধারাবহিকতায় সোসাইটির গঠণতন্ত্রের ১২নং অনুচ্ছেদের আলোকে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শ্রী সুবল চন্দ্র বর্মণের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির ছয় জন সদস্য নতুন সদস্যদের সমবর্ধনা ও সোসাইটির চলমান বহুবিধ সমস্যাবলীর আলোকে গত ০৯/০২/২০১৯ তারিখে সোসাইটির সভাপতি/সম্পাদক বরাবর এক জরুরী বিশেষ সাধারণসভা আহŸানের জন্য আবেদন দাখিল করে কিন্তু সোসাইটির সভাপতি ও সম্পাদক কোন ধরনের আহŸানে সাড়া না দেয়ায় গতকাল ২২মার্চ,২০১৯ খ্রি.রোজ শুক্রবার ২.৩০ ঘটিকায় সোসাইটির প্রাঙ্গণে এক জরুরী সাধারণসভার আয়োজন করা হয়েছিল।
গতকালরে সেই সাধারণসভায় শুণ্যপদে ৩ জন ট্রাষ্টি নিয়োগ করা হয়।পুর্বের কমিটির অনুপস্থিতিতে তাদের বিলুপ্তি ঘোষণা করে ১৮ সদস্য নতুন কমিটি গঠণ করা হয়।যে কমিটির সভাপতি ও ট্রাষ্টি করা হয় বাবু হীরালাল রায়কে , সহসভাপতি ও ট্রাষ্টি করা হয় দুলাল কর্মকারকে, শ্রী সুবল চন্দ্র বর্মণকে করা হয় সাধারন সম্পাদক কিন্তু উপস্থিত অনেকেই দাবী করেছেন এই কমিটি পুর্বেই তৈরী করা পকেট কমিটি যা শুধু সদস্যদের ডেকে পাশ করিয়ে নেয়া হল ফলে এই কমিটি নিয়েও সদস্যগণ হতাশা ব্যক্ত করে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত
[sharethis-inline-buttons]