পূর্ব প্রকাশের পর…
সহপাঠি বলয়ে কর্তৃত্ব ও প্রতিপত্তি অর্জনের তীব্র অাকাঙ্ক্ষা অাকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয় কৈশোর কাল থেকে। ছাত্র জীবনের শেষ অবধি পর্যন্ত এটা বেশি কাযর্কর থাকে। এ সময় নেতৃত্ব দেওয়া বা ক্ষমতার অাধিপত্য বিস্তারের একটা তীব্র অাকাঙ্ক্ষা মনোজগতে উঁকি মারে। যেহেতু এ সময়কালে অর্থ উপার্জনের প্রবল অাকাঙ্ক্ষা সবার বেলায় সমহার তীব্র হয় না। তাই এর মাত্রাও সবার বেলায় সমান নয়।
শ্রেণিকক্ষে, খেলার মাঠে, সামাজিক বা বিনোদনমূলক কার্যক্রমে নেতৃত্ব প্রদান, তথা অাধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে প্রতিপত্তি অর্জন করতে চায় কম বেশি প্রায় সবাই। জন্মগতভাবে যারা নেতৃুত্বের গুণাবলী নিয়ে জন্মায় বা যারা সামাজিক নেটওয়ার্কিংয়ে বেশি দক্ষ তারাই দ্রুত নেতৃত্বের অাসনে চলে অাসে। এ সময় প্রচ্ছন্ন মানসিক দ্বন্দ্ব কখনো কখনো প্রকাশ্য সংঘর্ষের রূপ নেয়। ফলশ্রুতিতে কিশোর অপরাধের প্রবণতা বেড়ে যায়। যৌবনের প্রারম্ভিক সময়ে দ্বন্দ্বের তীব্রতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে।
পাশাপাশি ভবিষ্যত জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ এবং কর্ম জীবনের পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় ঘনিয়ে অাসায় একটা মানসিক চাপ ও হতাশার ছাপ পরিলক্ষিত হওয়ায় উৎকণ্ঠা অারও বেগবান হয়। সামাজিক নেটওয়ার্কিংয়ের হার বেড়ে যাওয়ায় সমাজের ভাল খারাপ বৈষ্ট্যিগুলোর প্রভাব সামাজিক ইন্টার একশনের কারণে ব্যক্তি জীবনে সংক্রমিত হয়। এ সময় পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্বের একটা প্রচ্ছন্ন ক্ষেত্র বলয় তৈরি হয়। ব্যক্তিত্বে ভিন্নতা পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সংঘাতকে ত্বরান্বিত করে দেয়। সমাজ কাঠামোর দুর্বলতা এটাকে বহগুণে বাড়িয়ে দেয়।
চলবে…
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম : নিউইয়র্ক
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]