ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গোকর্ন ঘাটে ক্রিকেট জুয়ায় নিঃস্ব হচ্ছে যুবকরা। শহরে দেদারসে ক্রিকেট জুয়া চললেও প্রশাসন এদেরকে নিবৃত্ত করতে পারছে না। শহরের অলি গলি বাজার হচ্ছে ক্রিকেট জুয়ার বড় আসর। ঐসবখানে প্রতিদিনই জুয়ার আড্ডা বসে। এছাড়া গোকর্ন ঘাট জুড়ে ক্রিকেট জুয়ার ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম দুঃচিন্তায় ভুগছে অভিবাবক মহল । বিশেষ করে গোকর্ন ঘাট বাজারে ইন্টারনেট ভিত্তিক এ্যাপসের মাধ্যমেই চলছে রমরমা ক্রিকেট জুয়া।
এতে কিছু মানুষ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেলে ও নিঃস্ব হয়ে পড়ছে যুব সমাজের বড় একটা অংশ ।যার ধরুন, ইতিপূর্বে অনেক যুবকই ক্রিকেট জুয়া খেলে দেউলিয়া হয়ে জমিজমা বিক্রি করে এলাকা ছাড়া হয়েছে। গোকর্ন ঘাট মাছ বাজারের দঃপাশে প্রতিদিন ৪০/৫০জন জুয়ারি মিলিত হয়। একটি সূত্র জানায়, প্রতিদিন এই বাজারে ক্রিকেট জুয়ার লেনদেন কয়েক লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়, কত রান হবে, উইকেট পড়া না পড়া, কোন দল ম্যাচ জিতবে ইত্যাদি নিয়ে নগদ টাকায় ধরা হয় বাজী।
পথচারীদের আড়াল করতে জুয়ারিরা ৫শ’ টাকাকে ৫০ পয়সা এবং ১ হাজার টাকাকে ১টাকা বাজি বলে শব্দ উচ্চারণ করে। কোন গুরুত্বপূর্ণ খেলা থাকলে সেদিন লেনদেনের অংক আরো বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন যাবৎ শহরের একটি চক্র এ জুয়া চালিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এদিকে ক্রিকেট জুয়ার কারণে অনেক তরুণ ব্যবসায়ী ইতোমধ্যেই তাদের ব্যবসা গুটিয়ে পথে বসেছে। কেউ কেউ আবার দোকান বেঁচে দিয়ে বাজার ছেড়ে পারিয়ে গেছে। ক্রিকেট জুয়ায় আসক্তরা এখন এ্যান্ডুয়েড মোবাইল ব্যবহার করে, যে কোন জায়গা থেকে জুয়ায় বাজী ধরতে পারে ।
জানা যায়, একবার জুয়ায় হেরে গেলে সেই টাকা উঠানোর জন্য বার বার বাজী ধরা হয়। একপর্যায় এভাবে চলতে চলতে নিঃস্ব হয় যুবকরা।
রিপোর্ট : মাহফুজুর রহমান পুষ্প
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]