অামি এখন মর্গের রেফ্রিজারেটরে,
শায়িত অাছি নির্বিঘ্নে তরতাজা কোষ নিয়ে
কতদিন অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে কে জানে!
মিনিট, ঘন্টা, দিন, মাস অার বছর পেরিয়ে
হয়তোবা সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে যাবো।
হয়তো ঠাঁই হবে না ইতিহাসের পাতায়।
তবুও স্বতন্ত্র ইতিহাসটা মোড়ানো থাকবে
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে সিন্ধুকের তলদেশে;
বস্তু জগতে নির্মোহ ঋণাত্মক বিবর্তন
ধনাত্মক অাধানে অাবিষ্ট হয়ে
অাবর্তনের সীমানারেখা ডিঙ্গিয়ে চলে
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনের চোরাবালিতে;
অামর বিবর্ণ ইতিহাসটা থাকবে অযত্নে
কালের গর্ভে বিলীন হয়ে ফসিলরূপে।
গুপ্তধনে মোহাবিষ্ট সামাজিক অ্যালয়গুলো
সুযোগের অপেক্ষায় ঘুর ঘুর করে
তস্কর সেজে প্রহর গুনে
মোক্ষম সময়ের সন্ধানে।
রজনীর নিস্তব্ধতা ভেদ করে
কোনো এক অশুভক্ষণে
পৌঁছে যাবে অাঁকা বাঁকা গুহা পথে
অন্ধকার মাড়িয়ে লেজার টর্চ হাতে;
পরিত্যক্ত স্বচ্ছ পাথর কণা দ্যুতি ছড়াবে
হীরক কণায় রূপান্তরের ঢেউ তুলবে।
অাধুনিক যুগের বিধ্বংসী মারণাস্ত্র
অাছে যত অগণিত জীবাণু অস্ত্র,
অামার শরীরের কোষে কোষে রয়েছে সক্রিয়,
প্রতিক্রিয়া দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে
অঙ্গ প্রত্যঙ্গে সর্বাঙ্গে
বল্গাহীন চিত্তে নীতিহীনতার মানদণ্ডে।
ভাবনায় নিত্য অালোড়ন গড়ে প্রক্ষেপণ
পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি কোণে অাণত অাদিবেগ
সর্বোচ্চ পাল্লা সৃষ্টিতে নিয়ত ধাবমান।
ইতিহাসের ভিসেরা রিপোর্ট বলে
শিশুকাল কেটেছিল মাতৃক্রোড়ে
ভালোবাসার গভীর অাচ্ছাদনে
অনাবৃত অ্যাকটোডার্মের অাস্তরণে,
শকুনির ঠোঁট দিতে পারেনি শরীরে চোট,
হায়েনার অব্যর্থ অাঘাত
মাতৃত্ব করেছে প্রত্যাঘাত,
মমতার নিখাদ নিদর্শন
মজবুত ভালোবাসা করেছে পুন:নির্মাণ।
কৈশোরকালে জীবাণু হামলা
যতটাই ছিলো প্রকট
প্রতিরোধ ব্যূহ ততোটাই ছিলো প্রগাঢ়;
নিরাপদে কেটে যায় অনেকটা বেলা
উদীয়মান জীবনবোধের ভেলা।
যৌবনকালে শত্রু শিবিরের
বহুমাত্রিক যুগপৎ অাক্রমন
প্রতিহত করেছে মেসোডার্ম অার
এনডোডার্মের মিলিত অায়োজন।
ক্ষয়ে যাওয়া কোষ কলায়
সীমানা দেয়াল গড়েছে
অনুচক্রিকার যথার্থ বিক্ষেপণ।
বার্ধক্যের হেলানো রশ্মি
ছড়ালো শুধু তেজহীন অস্তগামী সূর্যের
অাবির রাঙ্গা রক্ত মাখা খেদাগ্নি।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম
রচনাকাল: ০১/০১/২০১৯
প্রকাশকাল: ০৭/০১/২০১৯
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]