ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বাংলা সাহিত্যের উজ্জল নক্ষত্র কবি আল মাহমুদের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (১৭-০২-২০১৯) বাদ জোহর জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নামাজ পরিচালনা করেন মাওলানা আশেক উল্লাহ ভূইয়া।
জানাযা নামাজে অংশগ্রহণ করেন নানা শ্রেনী পেশার কয়েক হাজার মানুষ। এর আগে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া কামনা চান। জানাযায় অংশ নিতে সকাল থেকেই তার ভক্ত ও অনুরাগীগণ রাজধানী-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন। জানাযার পর কবি আল মাহমুদের মরদেহের কফিনে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তির পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে মৌড়াইলের তার পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে কবিকে সমাধিত করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাত ৮টা ১০মিনিটে মরদেহ ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণ মৌড়াইল মোল্লা বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।
নিজ এলাকায় পরিচিত ছিলেন পিয়ারু মিয়া নামে। কবি আল মাহমুদ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৪ সালে গণকণ্ঠের সম্পাদক থাকাকালে কারাবরণ করেন।
১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদ থেকে অবসর নেন তিনি। সাহিত্যকর্মের জন্য আল মাহমুদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। কবি আল মাহমুদের রচনার মধ্যে রয়েছে- কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর, কালের কলস, সোনালী কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো, অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না, বখতিয়ারের ঘোড়া, একচক্ষু হরিণ, দোয়েল ও দয়িতা, দ্বিতীয় ভাঙ্গন, নদীর ভিতরে নদী, না কোনো শূন্যতা মানি না, বিরামপুরের যাত্রী, বারুদগন্ধি মানুষের দেশ, সেলাই করা মুখ, তোমার রক্তে তোমার গন্ধ ইত্যাদি। কবির সাড়া জাগানো উপন্যাসগুলো হলো- কাবিলের বোন, পানকৌড়ির রক্ত, উপমহাদেশ, ডাহুকি, যেভাবে বেড়ে উঠি, আগুনের মেয়ে, যমুনাবতী, চেহারার চতুরঙ্গ, যে পারো ভুলিয়ে দাও, ধীরে খাও অজগরী ইত্যাদি।
হীরা আহমেদ জাকির : বিজয়নগর প্রতিনিধি
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত
[sharethis-inline-buttons]