দুশ্চিন্তা অথবা অস্থিরতা অনুভব করা আজকাল একটি সাধারণ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেক মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় এ অবস্থার মধ্য দিয়ে যান।
দুশ্চিন্তা একজন মানুষকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিছু উপায় বা কৌশল রয়েছে যেগুলো দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে এবং মনকে স্থির রাখে।
বই পড়া: অবসর সময়ে বই পড়ে মন ভালো করার বিকল্প নেই। আপনার পছন্দের লেখকদের বই পড়তে থাকবেন। দেখবেন কোন দিক দিয়ে সময় চলে গিয়েছে বুঝতেই পারবেন না।
হাঁটতে যাওয়া : দুশ্চিন্তা দূর করার চমৎকার উপায় হলো হাঁটাহাঁটি করা। চারপাশের কোলাহল আর শীতল বাতাসের পরশ দুশ্চিন্তা ভুলিয়ে দেবে।
গান শোনা : গান শুনলে দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকা যায়। গান মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ভালো কোনো গান শুনুন, অন্যরকম অনুভূতি কাজ করবে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো : সব সময়ই প্রিয়জনদের সঙ্গে থাকতে হবে এমন নয়। ভালো কিছু সময় পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কাটাতে পারেন।
দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে। সবাই মিলে বাইরে খেতে যাওয়া বা কিছু সময় বাড়িতে একসঙ্গে কাটানো, এগুলো সহজাতভাবে মানসিক চাপ কমায়।
ফোন দূরে রাখুন : সব জায়গায় ফোন নিয়ে যেতে হবে এমন নয়। বাথরুমে যাওয়া বা হাঁটতে গেলে ফোন রুমে রেখে যান। এমনকি খাওয়ার সময়ও ফোন নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো মানে হয় না। কোনো কিছু না ভেবে বসে খাওয়া সেরে ফেলুন।
গৃহস্থালির কাজ করা : মানসিক চাপমুক্ত থাকার ভালো উপায় হচ্ছে গৃহস্থালির টুকিটাকি কাজ করা। মানসিক প্রশান্তির জন্য ঘরের বিভিন্ন ধরনের টুকিটাকি কাজ করুন।যেমন ধরুন রান্না বান্না করা বা রান্নায় সাহায্য করা।
শিশুদের সময় দেওয়া: আজকাল আমরা শিশুদের সাথে খেলাধুলা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছি। শিশুদের সাথে খেলাধুলা করলে মন প্রফুল্ল হয়। শিশুদের নিয়ে মনোরম কোন পরিবেশে হাটতে যাওয়াও এর মধ্যে শামিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকা : সব সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার প্রয়োজন নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুশ্চিন্তা বাড়ানোর জন্য কিছুটা দায়ী। এটি আপনার সৃজনশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিছু সময়ের জন্য হলেও এগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]