ভারত ও বাংলদেশের যৌথ অংশীদারিত্বে ভিত্তিতে বাংলাদেশের সর্ববৃহত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে, বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা ইউনিয়নের কৈকরদাসকাঠি ও সাতমারি মৌজায়। এটি হচ্ছে সুন্দরবন থেকে ১৪ কি.মি উত্তরে একেবারে খুলনা সীমানার কাছাকাছি এলাকায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য সাড়ে নয়শ’ থেকে প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে নেওয়া হয়েছে। যার সবটাই প্রায় বিরান জমি। এখানে উল্লেখ্য যে, আমার কলেজ জীবনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোঃ জিন্নাত আলীর বাড়ী বিখ্যাত রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের ডাকরা গ্রামে। সেই সুবাধে তাদের গ্রামের বাড়ীতে বেশ কয়েক বার বেড়াতে গিয়েছি। উক্ত এলাকার উল্লেখ্যযোগ্য স্থান ও স্থাপনা যেমন, ডাকরা বধ্যভূমি, রামপাল জামে মসজিদ, গিলাতলা জামে মসজিদ, রামপাল দূর্গা মন্দির, রামপাল ডিগ্রী কলেজ, ফয়সলহাট সিনিয়র মাদ্রাসা, চাকশ্রী হাট, খান জাহান আলী বাজার ইত্যাদি ঘুড়ে ঘুড়ে দেখেছি এবং এখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। গৌরম্ভা, উজলকুড়, বাইনতলা, রামপাল, হুকরা, রাজনগর, পেড়িখালী, ভোজপাতিয়া, মল্লিকেরবেড় ও বাঁশতলী এই ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে রামপাল উপজেলা গঠিত। এখানকার প্রায় ৮০% লোক উচ্চশিক্ষিত আর প্রায় সবাই নিরক্ষরতামুক্ত।
এই উপজেলার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় দুই লাখ। এই উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পল্লিব্যিৎতায়ন কর্মসূচীর আওতাধীন। তবে বর্তমানে মাত্র ১০.৮৮% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। অত্র এলাকায় বিদ্যুতের এত ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও রামপাল উপজেলাবাসী “রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র” স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, আলোচনা ও গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ভারত সরকারের সাথে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকেই দেশের সচেতন জনগোষ্ঠী এই চুক্তিকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী আখ্যা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এর অংশ হিসেবে তেল-গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে লং মার্চের আয়োজন করা হলে তাতে দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়। লং মার্চ থেকে সুস্পষ্টভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন প্রতিহতের ঘোষনা দেয়া হলে সরকারের পক্ষ থেকে আকস্মিকভাবে ২২ অক্টোবর ২০১৩ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা দেয়া হয় এবং তাতে বলা হয়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল, গত ৫ অক্টোবর ২০১৩ প্রধানমন্ত্রী কতৃর্ক ভারত থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় সুকৌশলে কুষ্টিয়া জেলার ভেরামারা থেকে দূরনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তির মাধ্যমে আকস্মিকভাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন। এ কার্যক্রমে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অংশগ্রহন করেন।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির হার এখানে উন্নত দেশের চেয়ে অধিক।আমাদের বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদা ৯ হাজার মেগাওয়াটের চেয়ে কিছু বেশি হলেও উৎপাদন ক্ষমতা সরকারি সংস্থা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যনুযায়ী, ১২ হাজার ৭২৫ মেগাওয়াট। সরকারি সংস্থার প্রদত্ত তথ্যে যদিও দেখা যায়, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন অধিক; কিন্তু প্রশ্ন হলো প্রকৃতই যদি চাহিদার চেয়ে উৎপাদন অধিক হয়ে থাকে তা হলে দেশব্যাপী কেন বেশীর ভাগ সময় লোডশেডিং অব্যাহত আছে? আমাদের বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে আগামী ৫ বছরে বিদ্যুতের চাহিদা গিয়ে দাড়াবে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি এবং ধারণা করা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ এ চাহিদা ৩০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। বিদ্যুতের এ বড়তি চাহিদা কিভাবে মেটানো হবে, তা নিয়ে সরকার ও দেশবাসী চিন্তিত হলেও লক্ষ্য অর্জনের অনুসৃত পন্থা নিয়ে সরকার ও দেশবাসীর মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।
বড়পুকুরিয়াসহ ফুলবাড়ী, জামালগঞ্জ ও খালাসপীরে কয়লার যে বিশাল মজুদ রয়েছে, তা উপেক্ষা করে প্রতিদিন ভারত থেকে আমদানিকৃত নিম্ন মানের ১০ হাজার টন সালফারসমৃদ্ধ কয়লা ব্যবহার করে সুন্দরবনের সন্নিকটে খুলনা জেলার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্মন তাপবিদুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য ভারতের এনপিজি এবং বাংলাদেশের পিডিপির মধ্যে একটি চুক্তি সংরক্ষরিত হয়েছে। দেশের সচেতন জনগণ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদরা এই চুক্তি বাতিলের দাবি করে করছে। রামপাল চুক্তি বাস্তবায়িত হলে প্রতিদিন সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে ১২ হাজার টনের কয়লার জাহাজ যাতায়াত করবে। এই প্রকল্পে বছরে অন্ততঃ ৪৭ লক্ষ টন কয়লা পোড়ানো হবে। এর ফলে পানি, বায়ু ও মাটি ভয়াবহ দূষণের শিকার হবে। যা পর্যায়ক্রমে সুন্দরবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। এই স্বীকৃত তথ্য খণ্ডাতে সরকার বাহাদুরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই প্রকল্পে ‘আল্ট্রা সুপারক্রিটিকাল’ টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। তাতে দূষন রোধ করা হবে। কিন্তু প্রকল্পের চুক্তিতে এমন কোনো শর্তের কথা উল্লেখ নেই। সরকারের এক পরিবেশ সমীক্ষায় বলা হয়েছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে প্রতিদিন ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাইঅক্সাইড ও ৮৫ টন নাইট্রোজেন ডাইঅক্্রাইড নির্গত হবে। বছরে ৯ লাখটন ক্ষতিকর বিষাক্ত ছাই বাতাসে মিশবে। কতটুকু দূষন কমবে তা সহজে অনুমেয়। তাই ‘রামপাল কয়লা ভিত্তিক প্রকল্পে’ সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না- এমন তথ্য ধোপে টেকে না।
পরিবেশবিদদের মতে, ২০০ বছর আগে সুন্দরবনের মোট আয়তন ছিল ১৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এখন দাড়িয়েছে ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে ৬০%, ভারতে ৪০%। সুন্দরবন ধ্বংশ হলে আমাদের দেশের ঐ অঞ্চলে ৪০ লক্ষাধিক মানুষ তাদের জীবিকা হারাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৫ কোটি মানুষের জীবনও সম্পদ অরক্ষিত হয়ে পড়বে। ‘ইউনেস্কো’ রামপাল প্রকল্প নিয়ে শুধু উদ্বেকগই প্রকাশ করেনি, এটি বন্ধ করতে বলেছে। এ ছাড়াও ভারতের ‘এক্সিম ব্যাংককে’ এ ধরনের প্রকল্পে অর্থায়ন না করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক’শ প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছে। যাবতীয় যুক্তি-তর্ক-অনুরোধ- প্রান্তিকজনতার মনোভাব সব কিছুকে উপেক্ষা করে সরকার বাহাদুর যদি কখনো আত্মগাতী সর্বনাশা রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এগিয়ে নিতে চায় তখন প্রতিরোধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না। সরকরকে জনগণের এ সব মনোভাব গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে। একতরফা ভাবে সা¤্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের স্বার্থ দেখলেই চলবে না। তা সম্পূর্নরূপে পরিত্যাগ করতে হবে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার দাম টন প্রতি ৫০-৮০ ডলার; কিন্তু রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারত থেকে যে কয়লা আমধানি করা হবে তার মূল্য ধরা হয়েছে টনপ্রতি ১৪৫ ডলার। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মূল্যের যে এতো ব্যাপক তারতম্য, এর কারণ উদঘাটন অত্যাবশ্যক নয় কি? আমাদের দেশে বর্তমানে ওরিয়ন গ্রুপের তিনটি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র, যথা মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং খুলনার লবনচড়া ও চট্রগ্রামের আনোয়ারা থেকে সরকার যথাক্রমে ৪ টাকা ও ৩.৮০ টাকা দরে বিদ্যুৎ কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে; কিন্তু অযৌক্তিকভাবে একই ধরনের রামপাল কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ৮.৮৫ টাকা। দেশী ও বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের মূল্যের এ ধরনের ফারাক যেকোনো বিবেচনায়ই গ্রহনযোগ্য নয়। বিশেজ্ঞদের মতে, পরিবেশগত ও অনান্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কথা বাদ দিলেও প্রতিদিন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যদি ২০ ঘন্টা করে ৩০ বছর চালু থাকে এবং ইউনিটপ্রতি ৪.৮৫ টাকা আর্থিক ক্ষতি ধরা হয় কেবল তাহলেই ক্ষতির অংকটা হবে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। আমাদের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত লাখতে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। তবে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে অবশ্যই আমাদের বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন, জাতীয় স্বার্থের হানি এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের বিপর্যয় ঘটিয়ে নয়। রামপাল কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হলে জাতীয় স্বার্থের হানিসহ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের বিপর্য়য়ের কারণে যে ক্ষতি হবে তা অর্থ দিয়ে পরিমাপ্য নয়।
২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে “রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র” সম্পর্কে সর্ব শেষ অবস্থা জানার জন্য রামপাল উপজেলায় আমার বন্ধুর বাড়ীতে আবার বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষন কালে লক্ষ্য করেছি ২০১৬ সালের অক্টোবরের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের” স্বপক্ষে যে, প্রেসফারেন্স করছেন তারপর থেকে সারা দেশের মানুষের ন্যায় রামপাল এলাকার মানুষেরও এমন মনোভাব তৈরী হয়েছে যে,“আমরা সুন্দরবন সুরক্ষাও চাই, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রও চাই। সরকার বাহাদুর রামপাল উপজেলাবাসীর সমর্থন আদায়ের জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে এ কথাও সত্য যে বর্তমানে জাতীয় ভাবে “রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বিরোধী আন্দোলনও” আগের মতো জোরালো হচ্ছে না। এই সুযোগে এমন সংকটময় অবস্থায় সমগ্র জনগণের হাজারো আপত্তি সত্যেও সরকারের একতরফা র্নিদেশে “রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের” মুল জায়গায় ভ’মি উন্নয়ন সম্পন্ন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। নিমার্ণ কাজের জন্য৩৩ কেভি ক্ষমতার একটি সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। রাস্তাঘাট, অফিস, আবাসিক ভবন, ভান্ডার, নিরাপত্তা চৌকির মত প্রাথমিক অবকাঠামো গুলির নিমার্ণ কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে এগুচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির জন্য রিভার অসমোসিস পানির কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আর্থিক হিসাব চ’ড়ান্ত করার পর প্রকৌশল ও নিমার্ণ কাজ শুরু করা হবে। ৮/৯ মাসের মধ্যে আর্থিক হিসাব চুড়ান্তকরনের কাজ শেষ করার জোর প্রচেষ্টা চলছে।
সরকারের এহেন অচরনে সমগ্র দেশবাসী বিক্ষুদ্ধ ও হতাশাগ্রস্থ। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে সমগ্র দেশবাসীকে বলতে চাই, সব সময়ই মনে রাখতে যে,কোনো গন-আন্দোলনই বৃথা যায় না। সুতরাং সুন্দরবন এর পাশ থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সরিয়ে নিতে ব্যাপক গন-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। জনগণের ব্যাপক প্রতিরোধের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করাতে পারলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প পথের নির্দেশনা দিতে বাধ্য করা যাবে। তবে এ কথাও সত্য যে, সুন্দরবন রক্ষার সংগ্রামে বিজয়ী হওয়া এবং একইসাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যথার্থ বিকল্প পথ নিদের্র্শ না দিতে পারলে আরো সর্বনাশা প্রকল্প নিয়ে আসবে সরকার।
খায়রুল আকরাম খান : ব্যুরো চীফ, দেশ দর্শন ডটকম
Some text
ক্যাটাগরি: ভ্রমণ কাহিনি, মতামত
[sharethis-inline-buttons]