হতে পারে একটি ছেলে বা মেয়ে মা বাবার জন্য এই দুনিয়ার বুকে একটুকরো জান্নাত, বা জাহান্নামের একটুকরো অঙ্গার, কারণ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে প্রতিটি মাননবশিশুই ইসলামের ফিতরত নিয়েই জন্মগ্রহণ করে, এটাই নিয়তির শাশ্বত নিয়ম বা বিধান। কিন্তু দুনিয়াতে আসার পর তার মা, বাবা তাকে যেভাবে গড়ে তুলেন সে সেভাবেই গড়ে উঠে তাই প্রতিটি আদর্শ মা বাবার কর্তব্য হলো, উচিৎ হলো, এই নিষ্পপাপ কচি-কোমল কলিগুলোকে,ইসলামের সুশীতল ছাঁয়ায় মায়ের পরম মমতা ও বাবার কোমল আদরের স্নেহ -সোহাগ দিয়ে এই কোমলমতি কলিগুলোকে, ফুলরুপে বিকশিত করা, প্রস্ফূটিত করা আর দুনিয়া নামক এই নরকের যাবতীয় পাপ-পঙ্কিলতা ও কালিমা -কলুষতা থেকে এগুলোকে দূরে রাখা, নিরাপদ রাখা।
কালের অশুভ ঝড়-ঝাপ্টার মোকাবেলা করে এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা। কারণ মায়াঘেঁরা এই স্বপ্নীল-পৃথিবীতে, মা ও বাবা এ দুজনের মাঝে মায়া ও মহাব্বতের বাঁধনে ঘেঁরা যে, জগৎ এটাই হলো এই ভুবনে সবুজ-শ্যামল একটি পূষ্পকানন, মানবকানন আর বাবা হলেন সেই কাননের একজন দরদী মালী, মা হলেন সেই কাননের একজন মমতাময়ী মালিনী,। বাবা ও মায়ের একান্ত পরিশ্রম- প্রচেষ্টা ও পরিচর্চায় তিলে তিলে গড়ে তুলা এই মানব- বাগানে, এই মানব- কাননে অদূরভবিষ্যতে তাদের মেহনতের উপর ভর করেই কত মানবকলিই না আসবে ! কত ফুল – কলিই না, ফুল হয়ে ফোটবে , আবার কত কলিই, নাফোটেই কালের ঝড়-ঝাপ্টায় ঝড়ে পড়বে বা ঝড়ে যাবে !!
তাই আদর্শ মা, ও আদর্শ বাবা হওয়ার জন্য চাই একটু পুর্ব প্রস্তুতি ও প্রচেষ্টা, একটু রুচিশীলতা ও দায়িত্বশীলতা,কারণ প্রতিটি মা বাবাই দায়িত্বশীল, আর যারা দায়িত্বশীল তারা তো রুচিশীল বটেই, তাই তাদের উচিৎ বিকৃতরুচি ও অসুস্থচিন্তা পরিহার করে রুচিশীল হওয়া।,তাদের কোমলমতি কলিগুলোকে আধুনিকতার ছোঁয়া ও বেশভূষায় গড়ে না তুলে ইসলামিক ছোঁয়া ও ভেষভূষায় গড়ে তুলা, আর বাবা ও মা এর সাথে (আদর্শ) এই বিশেষণ যোগ করার কারণ হলো মা সবাই হতে পারে! বাবাও সবাই হতে পারে!, কিন্তু আদর্শ মা! আদর্শ বাবা! হতে লাগে অন্য কিছু,! ভিন্ন কিছু,! আমাকে ভুল বুঝবেন না এখানে! কারণ মা বাবা আদর্শ নাও, হতে পারে। হতে পারে হতদরিদ্র, বা অশিক্ষিত কিন্তু খারাপ! তা কখনো হতে পারে না এটাই আমার বিশ্বাস, ধারণা নয়।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]