চুরি করা একটা অসুখ। আসলেও এটা একটা দুরারোগ্য অসুখ। এটা এমন একটা অসুখ যা তার পরিবার স্বীকার করে না। এই রোগটির নাম ক্লেপ্টোম্যানিয়া। চাহিদা আছে কিনা সেদিকে কোন লক্ষ্য থাকবে না। যা দেখবে তাই নেবার জন্য ব্যাকুল থাকবে। এর জন্য সে যে কোনো পন্থা অবলম্বন করতে থাকবে।
এতে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে পারে না। সে অন্যের জিনিস যে কোন ভাবে নেবেই। ক্লেপ্টোম্যানিয়ার এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সারা জীবন এই কাজটি চালিয়ে যায়। যেখানেই সে যায় সেখান থেকে কিছু না কিছু খুব কৌশলে চুরি করবে। দোকানে গেলে সেখান থেকেও সে তার পছন্দ মত জিনিসটি সরিয়ে ফেলে। এমন উদাহরণ বহু আছে! লাখ টাকা ভাড়ার হোটেলে রাত কাটিয়ে- দুইশো টাকার তোয়ালে চুরির মতো ঘটনা। আমি এই রোগ দেখেছি মেয়েদের মধ্যে বেশি। সভ্রান্ত মহিলাদের দেখা যায়- অপ্রয়োজনীয় সব ছোটখাট জিনিস চুরি করছে।
ক্লেপ্টোম্যানিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চারিত্রিক ভাবেও এরা ভীষন অবিশ্বস্ত হয় ! ক্ষমা করবেন, আমার একটি ছোট্ট কন্যা সন্তান আছে। তবুও বলছি, এ রোগে আক্রান্ত নারী -পুরুষ উভয় যৌনতার ব্যাপারে অবিশ্বস্ত হয়।
ক্লেপ্টোম্যানিয়ার জন্য চিকিত্সার প্রয়োজন দরকার। তা নাহলে ঐ মানুষটার জীবন নষ্ট হয়ে যায় এবং তার চৌর্যবৃত্তি আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সারাটা জীবনের জন্য স্থায়ী হয়ে যায়। আমি অল্পকিছুদিন আগে এরকম একজন এই রোগে আক্রান্ত মানুষের হাতে পড়েছিলাম । আমিও প্রথমে বুঝিনি, কিন্তু তাকে যখন সি সি ক্যামেরার হাতেনাতে ধরলাম, তখন বুঝলাম এটা তার ক্লেপটোম্যানিয়া অসুখ । ক্লেপ্টোম্যানিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি মানসিক অবস্থার অবনতি প্রতিরোধে পারিবারিক সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব : সহকারি সম্পাদক, দেশ দর্শন ডটকম
Some text
ক্যাটাগরি: চিন্তা
[sharethis-inline-buttons]