শিক্ষার মূল বিষয়গুলো এবং শিক্ষকদের মানবিক ও মানসিক বিষয়গুলো যত দ্রুত সম্ভব পর্যালোচনার আওতায় আনতে হবে। নইলে এ জাতির কপালে অনেক দুর্গতি আছে।
শিক্ষক মানুষ গড়ার মহান কারিগর। এই মহান পেশায় যারা নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের দায়দায়িত্ব অনেক। তারা মানবজাতির অভিভাবক। তারা যদি কখনো ব্যক্তি-স্বার্থের শেকলে আটকা পড়েন, তবে দেশ-জাতি-সমাজে ক্রমশ দুর্গতি নেমে আসে।
আজ শিক্ষকদের নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে, হাসি-তামাশা হচ্ছে। এর কারণ, শিক্ষকগণ তাদের মূল দায়িত্ব ভুলে গিয়েছেন। তারা শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের বৈষয়িক ও ভাষাগত জ্ঞান দিচ্ছেন, তাও উচ্চ-বিনিময়ে। এ থেকে গোড়াতেই লক্ষ-কোটি ছাত্র-ছাত্রী ব্যক্তিস্বার্থের শিক্ষা পাচ্ছে হাতে-কলমে।
শিক্ষকদের তারা যা করতে দেখছেন, তাই সময়ের ব্যবধানে আরো শক্তিশালী হয়ে তাদের মাধ্যমে ফিরে আসে। এ থেকে বোঝা যায়, আজকের শিক্ষকদের এ সঙ্কীর্ণ ও ব্যক্তিস্বার্থের শিক্ষা অনেক আগে থেকেই চলে এসেছে। আজকের শিক্ষকদের নৈতিক অধঃপতন হঠাৎ করে হয়নি, যুগ যুগ ধরে এটা ডাল-পালা গজিয়েছে।
সুতরাং শিক্ষার মূল বিষয়গুলো এবং শিক্ষকদের মানবিক ও মানসিক বিষয়গুলো যত দ্রুত সম্ভব পর্যালোচনার আওতায় আনতে হবে। নইলে এ জাতির কপালে অনেক দুর্গতি আছে।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]