কওমি মাদরাসা নিয়ে একটি শ্রেণীর সব সময়ই গাত্রদাহ ছিল। স্বাধীনতা আর উলামায়ে কেরামকে বিপরীতমুখী দাঁড় করাতে তারা বরাবরই অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। কিন্তু এই কওমী আলেমরাই যে স্বাধীনতার পক্ষের আসল শক্তি তা আবারও প্রমাণিত হলো। তারা স্বাধীনতার জন্য সর্বপ্রথম রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, ফাঁসিতে ঝুলেছে। নির্বাসিত হয়েছে দ্বীপে দ্বীপে, তবুও পরাধীনতা মেনে নেননি।
ঢাকা থেকে লাহোর পর্যন্ত আজও রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ বৃক্ষগুলোকে জিজ্ঞেস করো । তাদের ডালে কোন অপরাধে কাদের লাশ ঝুলানো হয়েছিল ?
জবাব দিবে আলেমদের লাশ । অপরাধ ছিল স্বাধীনতার কথা বলা ।
জিজ্ঞেস করো উপমহাদেশের বাতাসকে- সে কাদের লাশের পোড়া গন্ধ নিয়ে বেড়াচ্ছে ? জবাব দিবে আলেমদের।
স্বাধীনতার পক্ষে লড়ার অপরাধে যে চল্লিশ হাজার আলেমকে পুড়িয়ে শহীদ করে দেওয়া হয়েছিল । নাক বাড়ালে বাতাসে আজও সেই লাশের গন্ধ শুঁকা যায়। এই কওমীরা তাদেরই সূর্য্যসেনা।
একমাত্র স্বাধীনতার কথা বলার জন্যই যে একান্ন হাজার আলেম ফাঁসির কাষ্টে ঝুলেছেন ।
এরা তাদের রুহানি সন্তান।
দারুল উলূম মাদরাসা বৈশ্ব্যপাট্রা একটি সম্ভাবনাময় দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । যে চেতনায় দেওবন্দের দারুল উলুম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজ বৈশ্ব্যপাট্রার “দারুল উলুম” সেই চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে ।
আজও তারা লাল সবুজের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত তা প্রমাণ করেছে।
বিজয় দিবসে ব্যতিক্রম আয়োজনে বিজয়ের বর্ণাঢ্য র্য্যলী করেছে । কওমী অঙ্গন থেকে এমন অভিনব কর্মসূচির জন্ম দিয়ে তারা নতুন দার উন্মোচিত করেছে ।
এগিয়ে যাও দারুল উলুম,
গতি হোক দুর্বার
সফল হবেই তুমি,
কেউ নাহি পথ থামাবার ।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]