শীত শীত অনুভব হচ্ছে সবার মাঝে। ধানের ফুলগুলিও পাক ধরেছে। কৃষক সব মাঠের দিকে পা বাড়াচ্ছে। এখন সারাদিন মাঠের এক প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্তে, লোকালয়ে ভরপুর। গ্রামের মানুষ গুলো অলসতা ভেঙে, কর্মমুখী হয়েছে হেমন্তকাল পেয়ে।
ছেলেরা মনের খুশিতে খেলাধুলা করছে। গগণ পুরো পরিষ্কার থাকে, হেমন্তে বাতাসে দোলে। পরিষ্কার গগণের নীচে, সবুজ পাতার মাঝখানে, বাহির হওয়া ধানের ফুলগুলি।
পাখিরা ছুটে বেড়ায় এক গাছ থেকে অন্য গাছে। সুমধুর আবহাওয়ায় ঋতুর রাজা হেমন্তকেই মনে মনে ভাবি। আহা, বিকালে মাঠের প্রান্তে শত যুবকের খেলা। শিশুরা এক কোণে বসে, হাত তালি আর নানা রংবাহানায় মেতেছে।
এমন বিকেল, হেমন্ত এলেই চোখে সামনে ঝলসে ওঠে। হেমন্ত যেন প্রতিবছর এক আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে, কৃষকের মনে। নতুন ধানের নতুন পিঠা, চিঠা দেখা যায় গ্রামের ঘরে ঘরে।
হেমন্তের শুরুতে ছোট্ট সময় দেখেছি লাঠিয়ালি খেলা, গ্রামের বুড়ো ও যুবক তরুণের দল, রাত হতে একটি ঢাক সঙ্গে নিয়ে, মধ্য রাতব্যাপী খেলা শুরু করে দিতো। এ খেলা বেশ ভালই লাগে, হেমন্তের দিনগুলোতে।
মোঃ জুবায়ের হোসেন (দুখু)
Some text
[sharethis-inline-buttons]