কুজ্ঝটিকার হিমেল আবেশে ভরা পূর্ণিমা আজ,
রাস্তার ল্যাম্পপোস্টটার ক্ষীণ আলো।
দেখেছি ছাতিম গাছের পাতার ফাঁকে,
ঐ আকাশের গায়ে লেগে থাকা চাঁদের
চকচকে রূপালী আলোয় স্তব্ধ হয়ে চেয়ে থাকি।
আমায় ডেকে বলে এসেছো এবার তুমি?
মফস্বলের এই শান্ত রাতে হেমন্তের মৃদু হিম পবণ।
দক্ষিণা বাতাসে কিছুক্ষণ পরপর
নিঃশ্বাসে টের পাই হাসনাহেনার তীব্র সুবাস।
ঈষাণ কোন বিক্ষিপ্তভাবে উড়ে বেড়ায়
নিশুতী রাতের বাদুর,
মাঝে মাঝে পাশের কাঠবাদামের
মগডালে ঝুপ্ করে এসে ঝুলে পড়ে।
রেলগাড়িটার শব্দ এলো কানে ,
ছুটে চলা জীবনে কেবলই তার দূরে
যাবার তাড়া।
শব্দ আবার নিস্তব্দতায় যায় মিশে।
আরো কিছুক্ষণ নীরবতায় কাটে পূর্ণিমার
আলোকিত যামিনী।
অদূরের রেলপথের ধারে বসে অচেনা এক
রাখালের বাঁশীর সুর ভেসে আসে ।
ভাবাঙ্কন আনে আমার মনে সুরের তীব্র টানে।
মনের অস্ফুর্ত কথাগুলো সুরের দোলায়
জানান দিয়ে যায়।
নারিকেলের পাতার উপর পড়েছে
পূর্ণিমার আলো পড়ে চিক্চিক করে ওঠে।
ওর অমন যশোভিলাসী রূপে প্রলুব্ধ অবনী।
মাঝে মাঝে আবার হালকা বাতাসে দুলছে ।
অতীত স্মৃতিরা ভীড় করে মনের জানালায়।
ভালোলাগার এক নীরব ভাবনায় ডুবে যাই ।
Some text
ক্যাটাগরি: কবিতা
[sharethis-inline-buttons]