মাঝে মাঝে এমনই করি। কেমন? ফোনলিস্টের সংরক্ষিত নাম্বারগুলায় কল করি। পরিচিত, মুখচেনা সব স্তরের বন্ধুদের খোঁজ নিই। কে কি করছে, কেমন আছে, কি করছে ইত্যাদি।
এমন সৌজন্য কলের বেশিরভাগ হয় বাড়িতে ছুটি কাটানোর দিনগুলোতে। তো, আজ দিই, সে ধারাবাহিকতায়। বন্ধুদের কেউ জানালো তার জীবন উন্নতির কথা, কেউ জানালো আগে যেমন ছিল তেমন থাকার কথা, কেউ জানালো দু:খ-সুখের কথা। এত্তগুলা কলের মধ্যে একটা কলের কথাগুলো আমার হৃদয়ে বিঁধে আছে।
লেখক এইচ এম জাবেদ হোসাইন। বহুগ্রন্থপ্রণেতা এবং বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের অন্যতম সদস্য। বি-বাড়ীয়ার একটি মাদরাসার প্রিন্সিপালও। কর্মমুখর এই বন্ধুটি অটোতে এক্সিডেন্ট হয়ে আজ দু-মাস ঘরবন্দী। রানের হাড্ডি হয়েছিল তিন টুকরো। দস্যি এই ড্রাইভার একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে বাঁধালো এমন এক্সিডেন্ট। হাসপাতালের দৌঁড়াদৌড়িতে চলে গেলো তার দেড় লাখের মত! কিন্তু ড্রাইভার নামক ধানবটার কিছুই হলো না, তাকে গুনতেও হলো না কোনো জরিমানা।
বন্ধুবর লেখক জাবেদ হোসাইন জানালো তার জীবনে নেমে আসা চরম দু:খের কথা। কর্মব্যস্ততার এই জীবনে সে এখন ঘরবন্দী। পুরো সুস্থ হয়ে ওঠার ব্যাপারে সে ভুগছে আশংকায়। আমি সান্ত্বনা দিলাম। দোয়া করে বললাম, আল্লাহ আপনাকে দ্রুতই সুস্থ করে দিবেন।
দিনশেষে তার অসহায় কথাগুলো আমার কানে বেজে চলছেই। আর চোখে ভাসছে পরিবহন শ্রমিকদের পোড়া মবিল মাখানো অসহায় মানুষের জিম্মি চেহারাগুলো।
Some text
ক্যাটাগরি: চিন্তা, দর্শন, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]