প্রায় অবসর জীবনযাপন করছেন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সীতানগরের জেলেরা। তিতাস নদী এবং জেলেদের জীবনযাপন দেখতে গিয়েছিলাম আমরা কয়েকজন। কথা হয়েছিলো সীতানগরের স্থানীয় এক জেলে হরলাল দাসের সঙ্গে। সে ও ব্যাস্ত ছিলো, বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার জন্য জাল তৈরিতে। কাজের ফাকেই আমাদের সঙ্গে বেশ মজা করেই কথা বলছিলো।
কথার ফাকে জিজ্ঞেস করলাম, মাছ এখন কেমন ধরা পরে জালে? সে দু:খ ভরা মনে আমাদের জানালো, জালে তেমন মাছ ধরা পরেনা, নদীর পানি শুকাইয়া গেছে। হরলাল দাস জানান, তিন জন লোক কাইজনা বিল এবং তিতাস নদী- দুটো মিলিয়ে রাত ১২টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত সারা রাত মাছ ধরে প্রায় হাজার টাকা বিক্রি করে, তিন জন মাছ বিক্রি যে টাকা পাই এই টাকার ভাগ দিয়েই চলে তাদের সংসার।
জেলে জনপদের সঙ্গে কথে বলে অবশেষে বুঝলাম তিতাস ভালো নেই!এই জন্য তিতাস পাড়ের জেলেরাও ভালো নেই, তাদের মুখে হাসি নেই। তিতাস এবং তিতাস জনপদের জেলেদের এখন সময়ের দাবি, একটাই দাবি, অতি দ্রুত যেনো তিতাস নদীকে খনন করা হয়! তিতাসকে যেনো আবার ফিরিয়ে দেয়া হয় তার নতুন জীবন। যেনো আবার পুনঃরায় নতুন ভাবে ফিরে পায় তার যৌবন।
তিতাস তার পুরোনো সৌন্দর্য, রূপ, যৌবন ফিরে পেলেই,শীত মৌসুমে যেমন তিতাসের বুকে পানি থাকবে, তেমনই তিতাসে জনপদের জেলেদের মুখে ও হাসি থাকবে, তাদের সংসারে থাকবে সুখের আলো। সেই আলোতে আলোকিত হবে আমাদের চারপাশ, আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আমাদের বাংলাদেশ। আসুন জেলেদের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমরা ও বলি তিতাস নদী খনন হউক, তিতাস ফিরে খুজে পাক তার পুরনো যৌবন,তিতাস বাচুঁক, নদী বাচুঁক, তিতাস পাড়ের জেলেদের মুখে হাসি ফুটুক।
ছবি সময়: ১১ই নভেম্বর ‘২০১৮
সায়মন ওবায়েদ শাকিল
Some text
ক্যাটাগরি: চিন্তা
[sharethis-inline-buttons]