ইতিহাসের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অতীত, ক্ষয়িষ্ঞু
ইটের ফাঁকে করছে আর্তনাদ, ডেকে বলে,
এসো, অনেক কিছু দেখার, ছোঁয়ার, স্পর্শ করার, অনুভব
করার মতো।
বুঝে নাও আমার বেদনার করুণ অনুভূতি, চেয়ে দেখ
আমার দেয়াল আজ শেওলায় ঢাকা পড়ে গেছে।
অতীতের এই আমি জৌলুস ভরা জীবন পরিয়ে জীর্ণ-শীর্ণ
হয়ে মহারাজাদের কর্মের সাক্ষী হয়ে তোমার কাছে এলাম।
তখন আমার দম্ভ হয়ে ছিল, সময়ের অধিপতির তোড়জোড়ে
আর প্রজাদের সম্পদে আমায় তৈরি করেছেন।
দিনগুলো কতো নিষ্ঠুরভাবে বয়ে চলে গেল! পরিত্যক্ত
হলাম শত বর্ষ পূর্বে…!
এখন আমার ভাঙা বেলকনি, জং ধরা কার্নিশ, ক্ষয়ে যাওয়া
ছাদ…!
বিশাল ভবনে থাকে না আর কেউ।
আমি তাই ঠিক করেছি
শালিক চড়ুই আর পোকা-মাকড়কে আশ্রয় দেব,
ওরা রাতদিন কিচিরমিচির শব্দে আমার একাকীত্ব মুছে
দেবে, ভবনের ঘুলঘুলিতে বসে পুরানো দিনের গল্প শুনবে।
তুমি জীর্ণ এই ভবনে একবার অন্তত দুইদিন থাকো !
ভয় পেয়ো না! ধীরে ধীরে ইতিহাসের অনেক কিছু করবে
অনুভব।
Some text
ক্যাটাগরি: কবিতা
[sharethis-inline-buttons]
আমি তাই ঠিক করেছি
শালিক চড়ুই আর পোকা-মাকড়কে আশ্রয় দেব,
ওরা রাতদিন কিচিরমিচির শব্দে আমার একাকীত্ব মুছে
দেবে, ভবনের ঘুলঘুলিতে বসে পুরানো দিনের গল্প শুনবে।
কথাগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে । অসাধারণ !!