সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে কথোপকথন, শীত এখানে তৃতীয় উৎস) পুরোটাই কাল্পনিক তবে আশা করি বাস্তব জীবনের সাথে তুলনা করলে এর তাৎপর্য বুঝতে কোনো সমস্যা হবে না।
নির্জন বিকাল, চুপচাপ আশপাশ, রোদ এখনও আকাশে তবে আধিপত্য কেবলই শীতের বাতাসের, সূর্য ঠিক আগের মতন সুবিধা করে নিতে পারছে না। আক্ষেপ সূর্যের, তবে কি শীতের শুষ্কতায় এখন আমাকে অবহেলার কারণ? উত্তরে পৃথিবী তুমার রোদের তীব্রতার তোপে দেহাবশেষ আমার যখন যন্ত্রণার শোকে তখন শীতের সিক্ততা যদি আমার ক্ষত পূরণের কারণ হয় তাতে তুমার যন্ত্রনার ত কোনো কারণ আমি দেখছি না। কোথায় ছিলে তখন যখন আমার মধ্যেই আমি ফেটে গিয়ে দ্বিখন্ডিত হচ্ছিলাম তুমিতো তখনও উন্মাদ ছিলে আমার মধ্যে জমে থাকা দু’এক ফোঁটা পানি পর্যন্ত কেড়ে নিতে। তোমার তীব্রতায় যখন আমি আমার মধ্যেই পুড়ে ছারখার হচ্ছিলাম দাবানলে, আমার পুড়ে যাওয়ার অংশের ধোঁয়া যখন তুমার দরজায় কারা নাড়ছিল তখনো তো তুমি মুখ গুজে বসেছিলে জানি বলবে গাঢ়তর ধোঁয়ায় তখন তুমি আমাকে দেখতে পাওনি।
পৃথিবীর উদ্দেশ্যে সূর্য, এত অভিমান তুমার আমার উপর। কী বলেছ? আমি উন্মাদ ছিলাম তুমার শরীরের দু’এক ফোঁটা পানি পর্যন্ত কেড়ে নিতে,হ্যাঁ আমি কেড়ে নিয়েছি তার থেকেও বেশি পানি আমি কি তুমাকে দেয়নি বৃষ্টি রূপে সমুদ্র আর নদীর বোক খালি করে। তখন কী তুমি তুমার পিপাসা মিটিয়ে নাওনি, দাওনি সবুজ অরণ্যের জন্ম,ঢাকনি তুমার ক্ষত। কী বলেছ? তুমি যখন দাবানলে পুড়ে ছারখার হচ্ছিলে তখন আমি তুমারি ধোয়ায় তুমাকে দেখতে পায়নি,হ্যাঁ পায়নি কারণ আমি তখন ব্যস্ত ছিলাম বায়ু শূন্যতা ঘটিয়ে বৃষ্টির আহবানে তুমার ধোঁয়া তুমাকে ফিরিয়ে দিতে।তুমি কী তখন বৃষ্টিতে তুমার শরীর ধুয়ে আমার তাপে পুনরায় তুমার শরীর শুকিয়ে নাওনি। আর এখন শীতের সিক্ততাকে তুমি আপন করে নিয়েছ। হ্যাঁ নাও, তবে আমার আকুতি তুমার কাছে, তখন তুমি আমাকে ডেক না যখন কুয়াশার আঁচলে তুমি ঢাকা পরবে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বরফের চাদরে নিজেকে অসহায় মনে হবে,কারণ তখনো আমি তুমাকে নিঃসস্বার্থ ভাবে বাচিঁয়ে যাব।
Some text
ক্যাটাগরি: চিন্তা
[sharethis-inline-buttons]