ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় মহাসমাবেশ হয়ে গেলো গতকাল। সমাবেশ চলাকালে রুমে বসে লাইভ দেখেছিলাম। সবকিছু মিলিয়ে আমার মন সায় দিলো, মহাসমাবেশ হওয়ার জন্য যা যা দরকার তার ষোলকলাই পূর্ণ এই মহাসমাবেশ। রাতে ইউটিউবে কয়েকটা চ্যানেলের নিউজও দেখি। পরেরদিন মানে এইতো আজ, প্রায় সবকটা দৈনিক দেখি। একমাত্র ইনকিলাব ছাড়া কোনো পত্রিকাই এত বিশাল জনসমাবেশটাকে গুরুত্ব দিলো না!
কেউ ২ নাম্বার, কেউ ৩ নাম্বার পেজে দিলো, নয়াদিগন্ত দিলো শেষ পেজে। অথচ সামান্য ৮-১০ জনের মিছিল, মানববন্ধনকেও বিশাল আকারে উপস্থাপন করে, মিডিয়ার এমন নজির ভুরি ভুরি।
এই যে মিডিয়াগুলোর এমন দ্বৈত আচরণ, তা তো বরাবরই দেখে আসতে হয়েছে। যারা ইসলামি আন্দোলন দল করেন, তারাও অবশ্য দেখছেন এবং দেখেন। আর অন্যান্য ইসলামিক দল প্রমুখতো দেখেনই; মিডিয়ার এমন আচরণ। এইসব দেখে নিজস্ব মিডিয়া না খুলে আর কত কাল অভ্যস্থ থাকবেন, সেই উত্তর দিবেন কি?
আপাতত ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশকেই জিজ্ঞেস করি, সারা দেশে আপনাদের কর্মী কত? ৫ লাখ? ১০ লাখ?
যদি ৫ লাখ হয়, তাহলে মাসে প্রত্যেকজন ২ টাকা করে চাঁদা দিলে প্রতিমাসে জমা হবে ১০ লাখ। সপ্তাহে জনপ্রতি ২ টাকা করে দিলে মাসের ৪ সপ্তার হিসাবে জমা হবে ২০ লাখ। প্রতিদিন জনপ্রতি ২ টাকা করে দিলে মাসে জমা হবে দেড় কোটি টাকা। এভাবে ১ বছর অতিবাহিত হলে টাকার অংক দাড়াবে প্রতি বছর কত কোটি টাকা? আর প্রতিদিন ৫ টাকা বা ১০ টাকা করে দিলে বৎসরে কত হবে?
সে হিসাব আপনার কাছে থাক। আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই ‘তোরা পরের উপর ভরসা ছেড়ে নিজের পায়ে খাঁড়া’। ওরা আপনার কথা বলবে না, লিখবে না, তাহলে আপনাকেই বলতে এবং লিখে যেতে দাঁড়াতে হবে, সেই ব্যবস্থা আপনি, আপনারা করবেন কি?
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত
[sharethis-inline-buttons]