মেধাবী, শিক্ষিত, নারী এবং মেয়েরা সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন-জাগতিক উন্নতির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বিশেষত এর কারণ, শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষের সত্যিকার শ্রেষ্ঠত্ব, মানসিক অসীম সম্ভাবনা, অসীম চাহিদার চাপ চিন্তা ও জ্ঞানগতভাবে মোকাবেলা করার কোনো পাঠ্যসূচি না রাখা। আমি দীর্ঘদিন ধরে যেসব চিন্তাভাবনা ও লেখালেখি করছি তা অনেকটাই এই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে। বলে না দিলে অনেকেই বোঝেন না অথবা হয়তো বোঝার মানসিকতা নেই।
পুরুষের জন্য বহু পথ-পন্থা ও ব্যবস্থা সমাজে ও রাষ্ট্রে আছে, কিন্তু নারীদের জন্য সেভাবে নেই। অধিকন্তু ‘মুখোশধারী পুরুষের’ দ্বারা নারী প্রতিনিয়তই নির্যাতিত নিপীড়িত। কি ধার্মিক কি অধার্মিক, ঘরে-বাইরে সর্বত্র ‘নারী নির্যাতনে’ এরা একজোট।
এসব বিষয় ও ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করা উচিত। সমাজ দ্রুত বদলাচ্ছে। মানুষের সত্যিকারের প্রেম, ভালোবাসা, হাসি বিদায় নিচ্ছে। সংসার পরিণত হচ্ছে সাক্ষাৎ-দোযখে। অবশ্য নারীদের অঙ্গনে নারীরা যেভাবে কাজ করতে পারবে, পুরুষরা সেভাবে পারবে না। বিশেষ করে দু’চারজন আত্মহত্যাপ্রবণ মেয়ে বা নারীর বিশেষ চিন্তা ও জ্ঞানের মাধ্যমে ফিরে আসা সম্ভব হলে, তাদের দ্বারা এ জাতীয় বহু নারীর সীমাহীন কল্যাণ আশা করা যায়। যা সমাজের সার্বিক কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।
যে যত মেধাবী, যে যত শক্তিমান, যে যত সূক্ষ্মদর্শী ও দূরদর্শী, তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও দেশ-সমাজের কাজে লাগাতে তত শক্তিসম্পন্ন চিন্তা, জ্ঞান ও শিক্ষা প্রয়োজন। বর্তমানে তা অনুপস্থিত। তাই তাদের দ্বারা দেশ-সমাজের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। এমনকি তারা নিজেরাও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার। মেধাবী, শক্তিমান ও সূক্ষদর্শীদের সঠিক যত্ন নেবার, সহযোগিতা করার কেউ নেই। তাই তারা দলে দলে নেশা, হতাশা ও আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকছে। কারণ তারা কেবল তিনবেলা পেটপুরে খেতে পারলেই পশুদের মতো বা সমাজের আর দশজন মানুষের মতো বেঁচে থাকতে পারে না।
তারা শুধু নিজেরা ভালো থেকে শান্তি পায় না, সমাজের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চায়। এমনকি স্বাভাবিক ভালো নয়, ‘চূড়ান্ত ভালো’ থাকতে চায়। সে ব্যবস্থা না পেলে, সে পরিবেশ না পেলে তারা অধিকতর ঝুঁকি নেয়, বিপ্লব করে, সমাজের স্বাভাবিকতার বাইরে গিয়ে চিন্তা করে। এতে সফল হবার সম্ভাবনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খুব কম। তখন তারা হতাশায় মুষড়ে পড়ে। এমনকি আত্মহত্যাও করতে পারে।
Some text
[sharethis-inline-buttons]