শুনেছি আগের কালের জমিদারদের কথার বিপরীতে সাধারণ প্রজারা গেলে তাদের ঘাড় থেকে মাথা নামাতেন। জমিদাররা তখন নিজেদের সুবিধার্থে লাঠিয়াল বাহিনী পোষতেন। তখনকার কালে নাকি নিয়ম ছিল, সেইসব বাড়ির সামনে দিয়ে সাধারণ জনগন জুতা পায়ে বা জামা গায়ে দিয়ে হেঁটে যেতে পারত না। জমিদাররা ক্ষমতার দাপটে কড়া মেজাজের কঠিন এক ধরনের ভাব ধরে থাকতেন। জমিদারি রক্ত শরীরে থাকলেই সে প্রজাদের ছোটলোক বা ছোটজাত হিসাবে দেখতেন। তাদের সামনে কেউ মাথা তোলে কথা বলার সাহস করত না।
প্রচলন ছিল প্রজা বা চাষাভুষোর রক্ত মাথা নিচু করে আদবের সাথেই কথা বলবে। সময় পাল্টে গেছে,এখন জমিদারকে পুছে কোন হা……! কে জমিদার আর কে প্রজা, কে বড়লোক আর কে ছোটলোক, আর কে কবে আঙুল ফোলে কলাগাছ হইছে তাতে মানুষের কিছুই যায় আসে না। কথায় কথায় মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের যেকোনো কিছু নিয়ে আঘাত করে জাতে উঠবার সুযোগ এই সময়ে নেই।
এই যুগে জাতে উঠা অতো সোজা না। আজকে যারা টিকে আছে আর আগামীতেও যারা টিকে থাকবে, তারা নিজেদের কর্মের মধ্যেই টিকে থাকবে। জাতিলাদের জাতের বড়াই দেখিয়ে টিকে থাকার আর কোন সুযোগ নেই ।
প্রতীকীছবি :আনন্দ বাবুর পরিত্যক্ত বাড়ি, কান্দিপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
Some text
[sharethis-inline-buttons]