টানা ৩০ মিনিট সাগরের ওপর দিয়ে প্রায় উড়ে চলে এলাম জল-সবুজের সন্দ্বীপে। বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের ঠিক মাঝ বরাবর এক দ্বীপের নাম সন্দ্বীপ। কুমিরা ঘাট থেকে সন্দীপের পথে স্পীডবোটে সাগর পাড়ি দিতে হয় প্রায় ২৫ কিলোমিটার। যাবার সময় কিছুটা কম লাগলেও ফেরার পথে ২৫ মিনিট লেগেছে। সাগরে মিশে মেঘনা যেনো আরো উত্তাল। নদী যেখানে সাগরে মিশেছে, পানির রঙের কিছুটা ভীন্নতা সেখানে বোঝা যায়।
যাবার সময়ই সেই আনন্দ উপভোগ করেছি আর করেছি ফেরার সময়। যেটুকু সময় ছিলাম ঘুরে বেড়িয়েছি গাড়িতে, ভ্যানে রিক্সায়। সমুদ্র পাড়ে বা বিস্তীর্ণ চরে না গেলে বোঝা যায় না এটা কোন দ্বীপ। কুমিরা ঘাটে যেতেই দেখলাম জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের এক মহাযজ্ঞ।
যাবার ও ফিরে আসার সময় যে কারো চোখে পড়বেই সীতাকুণ্ড রেঞ্জের পাহাড়গুলো। সন্দ্বীপে মরিয়ম বিবি সাহেবানী মসজিদ। সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের প্রাকৃতিক পরিবেশ- ম্যানগ্রোভ বেষ্টনী। বাংলাদেশে এই প্রথম আমি সবুজ সমুদ্রসৈকত দেখলাম। যত দূর চোখ যায় সমান ঘাসের মাঝে মাঝে নারিকেলগাছের কী দারুণ সুন্দর একটা সৈকত! প্রতিটি গাছই যেনো একেকটা ওয়ালপেপার। উত্তাল জলপথের এই অ্যাডভেঞ্চারময় অংশটুকু সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে ।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]