আমি আমার এক ভাগিনাকে একটা দোকানের ঔষধ কিনে দিলাম ও তাহা মিলিয়ে দিচ্ছিলাম, এই সময় গার্মেন্টসের এক কর্মী আমাদের কাছে এক বক্স ই ক্যাপ চাইলো, কিন্তু টাকা দিলনা।আমি বল্লাম এটা যে নেতা ষ্টাইলে কথা বলে ঔষধটা নিল টাকা দিলনা, সেতো কাজ করে গার্মেন্টসে করে, আমার মুখের কথা টেনে নিয়ে ভাগনা বল্লো খবরদার মামা সে এই এলাকার বি এন পির নেতার সাথে চলে, এখন কিছু বল্লে এখানে ব্যাবসা করা যাবেনা, তার পর থেকে দিনে রাতে তারে দেখতাম জামা খুলে লুঙ্গী তুলে সারা রাত ই রাস্তায় ঘুরতো, মানুষকে অত্যাচার করতো। আমি যখন ফজরের নামাজে যেতাম দেখতাম চোখ লাল লাল করে রাস্তায় ঘুরছে, কাকে মারবে কাকে খাবে এই দান্দায় থাকতো।মাঝে মাঝে দেখতাম লুঙ্গী প্রায় খুলে বা প্রায় তুলে হাটতো।কেউ কোন ব্যাগ বস্তা নিয়ে গেলে চেক করতো।কিন্তু বিশ্বাস করুন সে যে নেতার দাপটে চলতো সে নেতা কখনোই আমাদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতোনা।তার পর বিএনপি ক্ষমতা হারানোর পর তাকে আর দেখা যায়না।হয়তো দেখা যাবে সে এখন অাওয়ামিলীগের লোকের দালালী করে অন্য এলাকায়।
কথাটা লিখলাম এই কারনে আজ এক লোককে দেখলাম গায়ের জামা কাদে ফেলে উপর মুখী হয়ে হাটতাছে। এটাও এ ই এলাকার আওয়ামী লীগের লোকের সাথে চলে। ক্ষমতা হারালে এদের আর খুজে পাওয়া যাবেনা কারন তারা ভাসমান টোকাই শ্রেণীর লোক, এদের নাই সামাজিক মর্যাদা নাই জীবনের কোন দাম চাটুকারিতা করাই এদের কাজ।
আমার প্রশ্ন নেতাদের কাছে আপনারা রাজনীতী করেন সুখে দুঃখে এলাকায় থাকতে হয়।কারন এটা আপনার বসত বাড়ি। আপনি চামচা কেন পালেন ? আপনি কি জানেন এরা আপনার কাদে ভর করে আপনার প্রতিবেশী কে যে যন্ত্রণা দেয়, এর এফেক্ট আপনার উপর আসে, আসে মানুষের হাহাকার আপনার উপর। আওয়ামী লীগ হোক বিএনপি হোক,এদেশ আপনার আমার কোন চাটুকারের দেশ এটা হতে পারেনা।আসুন আমরা এই ওয়াদা করি আজ থেকে চাটুকারিতা করবোনা, চাটুকার পালন করবোনা। যদিও করি, এমন লোক রাখবো যে ক্ষমতার পালা বদলে এলাকা ছাড়তে পারবেনা। এমন লোক চাটুকার হলে মাথায় এই চিন্তা থাকবে যে আমি আমার প্রতিবেশীকে কষ্ট দিবনা।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]