ধর্ম হলো ব্যক্তি বা মানবকেন্দ্রিক। ধর্মের ব্যাখ্যা একেক জনের কাছে একেক রকম। প্রত্যেক ধর্মের আছে নিজস্ব কিছু বিশ্বাস, রীতি-নীতি ও নিয়ম- কানুন ইত্যাদি।
ধার্মিকতা হচ্ছে নিজ ধর্মের আইন অনুশাসন ইত্যাদি বিষয় মেনে চলে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা। আর যে ব্যক্তি ধর্মীয় এসব বিধি-বিধান পালন করে বা মেনে চলে অর্থাৎ ধার্মিকতা অনুসরণ করে তিনি ধার্মিক।
ঈমান বা বিশ্বাস হচ্ছে আমরা যখন সরাসরি জ্ঞান দ্বারা কোন বিষয় জানতে পারি না, অথচ ঐ বিষয়ে নিজেকে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে তখন পরোক্ষ জ্ঞানের সাহায্য নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাই বিশ্বাস। সৃষ্টিকর্তাকে আমরা দেখছি না অথচ আমাদের সামান্যতম জ্ঞান দ্বারা তার সৃষ্টি ও কর্মকাণ্ড অবলোকন করে আমরা তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করি।
যে কোন ধর্মে সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসই আসল বিষয়। এ বিশ্বাস আত্মায় ধারণ করে তা মেনে চলে মানুষ ধার্মিকতা অর্জন করে এবং ধার্মিক হিসেবে পরিচিত হয়।
আমাদের চারপাশে আমরা কিছু ধার্মিক ব্যক্তি দেখতে পাই যারা ধর্মীয় মুখোশ পড়ে অন্যায়-দুর্নীতি ও অসৎ কর্ম করে থাকে। ধর্মকে পুঁজি করে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করে। যে ধর্মের ব্যক্তি এমন পাপ কর্ম করে থাকে অন্য ধর্মের লোকদের কাছে সে ধর্ম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয় ।
অভাবের তাড়নায় অথবা লোভ -লালসা ও স্বার্থের কারনে যে ব্যক্তি পাপ কাজ করে তার মনে যদি সৃষ্টিকর্তার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস থাকত তবে তিনি শত কষ্ট বা লোভের প্ররোচনায় সৃষ্টিকর্তার বিধি-বিধান মেনে চলত এবং পাপ ও অসৎ কাজ হতে বিরত থাকত। যে প্রার্থনা বা ইবাদত মানুষকে সৎ কাজে উৎসাহিত এবং অসৎ কাজ হতে দূরে রাখতে পারে না সে প্রার্থনা বা ইবাদত মূল্যহীন।
তাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি যার পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস-আস্থা আছে ও সৃষ্টিকর্তার নির্দেশিত পথ ধরে জীবন অতিবাহিত করেন তিনি ধার্মিকতা লাভ করেছেন এবং তিনিই প্রকৃত ধার্মিক।
Some text
ক্যাটাগরি: ধর্ম
[sharethis-inline-buttons]