রেলযোগে ভাতশালা অথবা আখাউড়া থেকে যথাক্রমে ১০ এবং ২০ মিনিটে যাওয়া যায়। তাছাড়া নৌকা যোগে সাড়া বছরই তিতাস নদীর উপর দিয়ে চলা নদীপথ দিয়ে যাওয়া যায়। তবে বর্ষাকালে নৌকায় যাতায়াত সহজ ও চমৎকার হয়ে থাকে। খাল, বিল, পুকুর, নদী, নালা, আঁকাবাকা রাস্তা ও শতশত একর ফসলী মাঠে সমৃদ্ধ আমাদের চাপুইর। এদেশের বিভিন্ন ঋতুতে চাপুইরের প্রকৃতি বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়। গাছে ফুল-ফল, নদী ভড়া জল, পাখির কন্ঠে গান, কবির এই কথার বাস্তব দৃষ্টান্ত এই গ্রামে প্রবেশের পর উপলব্ধি করা যায়।
শতাইন্না ঘাট, শিয়াইল্লা বিল, কাইজলা বিল, পার্শ্ববর্তী শাপলা বিল বিশেষ করে তিতাস নদী এবং হলুদ সরিষা ফুল কিংবা পাকা ধানে আবৃত করে রাখে গামটাকে। “মাছে-ভাতে বাংগালী” এই প্রবাদের বাস্তব দর্শন চাপুইরে পাওয়া যায়। মাছ ও ভাতের সমাহার রয়েছে এই গ্রামে। মাছ ধরে/চাষ করে ও ফসল উৎপাদ করে গ্রামের চাহিদা পরিপূর্ণ করেও অন্যত্র সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
গ্রামের ভেতর থেকে আসা পাকা রাস্তার সমাপ্তি ঘটেছে বিখ্যাত তিতাস নদীতে। ববর্ষাকালীন সময়ে যেন দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয় এই রাস্তাটি। রাস্তার দুপাশে শুধু পানি আর পানি, যেন সমুদ্রের জল।
তাছাড়াও শিক্ষা সমৃদ্ধে আদর্শ গুণীজনে আধিক্য এই গ্রামে কৃষক ও সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের বসবাস। স্কুল, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, বাজার, ঈদগাহ ও সামাজিক সংগঠনসহ আধুনিক পরিবেশও দৃশ্যমান এই গ্রামে।
Some text
ক্যাটাগরি: ছবি ব্লগ, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]
আমিও ঐ গ্রামের একজন শিক্ষিত সন্তান , বি.এস.এস অনার্স(অর্থনীতি)
লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো