শুক্রবার সকাল ৮:০০, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

বিদ্যুৎবিভ্রাটে তড়িঘড়ি সংসদ অধিবেশন মুলতবি

৮০৯ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে তড়িঘড়ি করে সংসদ অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর)  একঘণ্টা জেনারেটরের সাহায্যে সংসদের বৈঠক চালানোর পর অধিবেশন মুলতবি করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে মঙ্গলবার সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার অধিবেশন শুরুর আগেই বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দেয়। এরপর সংসদের নিজস্ব জেনারেটরের সাহায্যে অধিবেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়। ঘণ্টাখানেক চলার পর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সংসদে সভাপতির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বৈঠক মুলতবি করেন। এর আগে তিনি মঙ্গলবারের বৈঠকের কার্যসূচিতে থাকা প্রশ্নোত্তর বাদে অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। সংসদের বৈঠক আগামীকাল বিকাল ৫টায় আবার বসবে।

সংসদ অধিবেশন মুলতবির কারণ জানতে চাইলে ডেপুটি স্পিকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণেই বৈঠক মুলতবি করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘সংসদে আমরা যে বিদ্যুৎ পাই, তা মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসে। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপর্যয় ঘটায় সংসদে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। আমরা জেনারেটর দিয়ে একঘণ্টার মতো বৈঠক চালিয়ে  পরে মুলতবি করেছি।’
এ সময় সংসদ সচিবালয়ের প্রধানমন্ত্রী ব্লক ও অধিবেশ কক্ষ ছাড়া কোথাও বিদ্যুৎ ছিল না সংশ্লিষ্টরা জানান।

এ বিষয়ে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, আমরা এখন ঘটনাস্থলে আছি। কারণ, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখার পর বোঝা যাবে কেন জাতীয় সংসদ ভবনে বিদ্যুতের এই সমস্যা হচ্ছে।
অন্যদিকে পিডিবি জানায়, মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। রাত ১০ টা বা ১১ টা নাগাদ কেন্দ্রটি থেকে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করছে পিডিবি। পিডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মেঘনাঘাট থেকে মোট সাড়ে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এই বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে সংসদে বিদ্যুৎ থাকবে না, এটা হতে পারে না। কারণ, এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হয়। ঘাটতি হলে সারা ঢাকায় হবে। শুধুমাত্র সংসদে হবে না। অন্য কোনও কারিগরী কারণে এই সমস্যা হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনকারী প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার জানায়, বিদ্যুতের চাহিদা না থাকায়, কেন্দ্রটি বন্ধ রাখা হয়েছে। পিডিবি চাইলে যেকোনো সময় কেন্দ্রটি তারা চালু করতে পারবেন।

কপিপেস্ট

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি