রবিবার সকাল ৭:২১, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

ধর্ম-আল্লাহ-রাসুল নিয়ে সন্দেহের কারণ

১১৪৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ৫ টি

ধর্ম, আল্লাহ, রাসুল, বেহেশত-দোযখ প্রভৃতি নিয়ে নবী-রাসুল এবং বিশেষ ওলীআল্লাহ ছাড়া প্রায় সব মানুষের মনের এক কোণে গভীর সন্দেহ, দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও প্রশ্ন কাজ করে, অথবা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। কারণ প্রকৃতির প্রকাশ্য সবকিছু ওসবের উল্টো। এটা ভালোভাবে চিন্তা না করলে অনেকের কাছে ধরা পড়ে না; বিশেষ করে যারা বাহ্যিক ধর্মীয় শিক্ষা, পরিবার, পোশাক, আচরণ ইত্যাদিতে অভ্যস্ত। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা দল যত্ন করে এ প্রশ্নগুলোকে কৌশলে আরও ভেতরে ঠেলে দেয়। তারা এ জাতীয় প্রশ্ন মনের কোণে উঁকি দেয়াটাকে খুবই আপত্তিকর দৃষ্টিতে দেখেন। ফলে সৃষ্টি হয় ধর্মীয় উগ্রবাদিতা, অন্ধবিশ্বাস, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি। অথচ উচিত ছিল এ সন্দেহগুলো জাগ্রত করে বস্তুগত, প্রাকৃতিক এবং সৃষ্টিগত জ্ঞান ও নিদর্শন পেশের মাধ্যমে এর উত্তর দেয়া।যতবেশি সম্ভব প্রশ্ন তোলা এবং প্রশ্নকারীদের বিশেষ মূল্যায়ন করা, সমসাময়িক দর্শন ও বিজ্ঞানের চ্যালেঞ্জগুলো সহজভাবে গ্রহণ করা।

জোনাকি পোকা সামান্য আলো পেয়েই নাচানাচি করে, সূর্যের আলোর তুলনায় তার আলো পরিমাপ করার সামর্থ তার নেই। আমাদের কেউ কেউও এমন সামান্য কিছু পেয়েই সমসাময়িক দুনিয়াকে হুঙ্কার ছুঁড়েন। তারা উপলব্ধি করতে চান না আজকের ইন্টারনেট, মিডিয়া ও প্রযুক্তির এই যুগে তাদের চিৎকার-চেচামেচিগুলো কতটা হাস্যকর। তাদের ‘ওয়াজ-নসীহতে’ হেদায়েতের চেয়ে গোমরাহ বেশি হচ্ছে। তাদের বক্তব্যে সত্যের চেয়ে বাতিলের প্রচারই হচ্ছে বেশি। এতে প্রশ্ন জাগে, আসলে ধর্মের জন্যই তারা এগুলো করছেন কি না? এরা জানে না অথবা বুঝে না এদের ওয়াজগুলো মিডিয়া ও বহির্বিশ্বে কি প্রভাব ফেলছে। তাই বাধ্য হয়েই কথাগুলো বললাম।

আমেরিকাি-ইউরুপে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম একটা কারণ, সেখানের মানুষেরা ভয়ভীতি, তালাক, একাকিত্ব, পারমাণবিক যুদ্ধের বিভীষিকা, ওপেনসেক্স, ধর্ষণ, হত্যা, যান্ত্রিকতা ও মানসিক বিকৃতিসহ তথাকথিত উন্নয়নের সব রূপ-রস-গন্ধ চেখে দেখেছে। যেমনটা আইয়্যামে জাহেলিয়াতে হয়েছিল। তাই অনেকক্ষেত্রে কোরআন-হাদিসের কেবল উদ্ধৃতিই তাদের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু পারিবারিক-সামাজিক মূল্যবোধ কিছুটা হলেও আছে এবং বিজ্ঞান, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে রয়েছে এমন দেশ-সমাজ-মানুষের জন্য শুধু উদ্ধৃতিই যথেষ্ট নয়, বরং বিশদ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ উপস্থাপন অপরিহার্য। কারণ একদিকে উন্নত বিশ্বের লাল-নীল বাতি তাদের দৃষ্টি বিভ্রম করছে, অন্যদিকে নিজ দেশের নিপীড়ন ধৈর্যের সীমা ভেঙ্গে দিচ্ছে। তাই তাদের সংকট দুটো। ধর্মকে আমরা বুঝতে হবে অতীত ইতিহাস, সমকালীন বাস্তবতা এবং বস্তুগত অনেক জ্ঞান দিয়ে।

Some text

ক্যাটাগরি: চিন্তা, দর্শন, ধর্ম, মতামত, সাহিত্য

[sharethis-inline-buttons]

৫ কমেন্ট “ধর্ম-আল্লাহ-রাসুল নিয়ে সন্দেহের কারণ

  1. আমাদের সমাজে বেশির লোকই ধর্মীয় আলোচনার গভীরে যেতে খুবই ভয় পায়, আমাদেকে্এ ভয় কাটাতে হবে। জংগীবাদ বিষয়ে আমার আমার আপ্তী রয়েছে। কেননা জংগীবাদের অর্থ হলো যুদ্ব বিয়ক মতবাদ। আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে যে,মানুষের জন্য র্ধম, র্ধমের জন্য মানুষ নয়।

  2. ধর্ম অর্থ কী? ধারন করা, কি ধারন করা? আগুনের ধর্ম কি! সবকিছু জালিয়ে পুড়িয়ে, ভষ্ম করে দেওয়া। বর্তমান পৃথিবীতে ঊল্লেখযোগ্য প্রধান ধর্মগুলো হল ইহুদি ধর্ম (জনসংখ্যা খুব কম), হিন্দু (সনাতন)ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম,খ্রীষ্টান ধর্ম, ইসলাম ধর্ম, শিখ ধর্ম (এরও জনসংখ্যা কম) প্রভৃতি। আপনার লেখা মূলত ইসলাম ধর্ম ভিত্তীক। আপনি লিখনীর মাধ্যমে

    • ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা, জীবন ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় কাঠামো বিনির্মান করতে চান কিনা? আর যদি তাই চান তাহলে আপনার সমমনা মানুষদের সঙ্গে পরিচয় যোগাযোগ আছে কি না?

      বিঃ দ্রঃ উপরের কমেন্টে ‘ভষ্ম করে দেওয়া’ এর পরে ‘মানুষের ধর্ম কী’

      • ধন্যবাদ জনাব সোলায়মান লাইব্রেরি ওরফে সোলায়মান মেহারী, আপনার মতামতের জন্য।

        জি হ্যা, আমি লেখালেখির মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা নয়, ইসলামের সঠিক বোঝ গ্রহণ করতে চাই। আর এজন্য আপনি এবং আপনার মতো কিছু জ্ঞানী-গুণী মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি