রবিবার বিকাল ৪:৪৫, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি

৯১৫ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি : শায়খুল হাদীস ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অবদান অনস্বীকার্য

মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আজ মঙ্গলবার কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। এর মাধ্যমে কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি আরেকধাপ অগ্রগতি হলো। সামনে আরেকটি ধাপ অতিক্রম করে তা চূড়ান্ত আইনে পরিণত হবে। জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনেই সেই ধাপ অতিক্রম হবে আশা করি।

 

 

কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতির দাবি উত্থাপন ও এটিকে জাতীয় দাবিতে পরিণত করার মূল কারিগর ছিলেন শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ.। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে পল্টন ময়দানে ছাত্র মজলিসের উদ্যোগে বিশাল ছাত্র সমাবেশে মাঠ পর্যায়ে প্রথম জোরালোভাবে কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতির আন্দোলনের সূচনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় জোট সরকারের শেষ সময়ে ২০০৬ সালে মুক্তাঙ্গনে শায়খুল হাদীসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন করে। সেই আন্দোলন দেশ বিদেশে এই দাবির পক্ষে তুমুল জনমত গড়ে তুলে। দেশি বিদেশে মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয় সেই আন্দোলনের সংবাদ। বিভিন্ন দল ও সংগঠন সেই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে।

 

 

সেই আন্দোলনে চাপে জোট সরকার তড়িগড়ি করে একটি গেজেট প্রকাশ করে দায় সারে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে ঐতিহাসিক পাঁচদফা চুক্তি স্বাক্ষর করে। পাঁচদফার একটি ছিল কওমি সনদের স্বীকৃতি। আরেকটি ছিল ফতওয়া বিরোধী রায় বাতিল করা। আওয়ামী লীগ বাম ও কট্টর ইসলামবিরোধী মিত্রদের চাপে সেই চুক্তি বাতিল করলেও এই দুটি দাবি বাস্তবায়ন করেছে। ফতোয়া বিরোধী রায় আগেই আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। আজ কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি বাস্তবায়ন চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এটা শায়খুল হাদীস ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রাজনৈতিক অর্জন।

শামসুদ্দীন সাদীর লেখা থেকে

Some text

ক্যাটাগরি: ধর্ম, মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি